ডায়েটিং-এর সময় মাঝ রাতে প্রায়ই খিদে পাচ্ছে? রইল কয়টি Late Night Snacks এর হদিশ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাড়তি ওজন কমাতে সকলেই মরিয়া। চেহারা ঠিক না হলে কোনও পোশাকই মানায় না। আবার বাড়তি ওজন শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। আর এই ওজন কমানোর কথা মাথায় এলে সবার আগে কোপ পড়ে খাদ্যতালিকায়। অধিকাংশই ডায়েটের নামে অর্ধেক খেয়ে থাকেন। হঠাৎ করে একটা খাবার কম খেলে খিদে পাবে তা তো স্বাভাবিক। আজ রইল এমন কিছু খাবারের হদিশ যা ডায়েটের সময় খেতে পারেন। রইল কটি লেট নাইট স্ন্যাক্সের হদিশ। ডায়েটিং-এর সময় এগুলো খেতে পারেন। এতে ওজনও বাড়বে না, উল্টে খিদেও কমবে। দেখে নিন মাঝ রাতে খিদে পেলে কী কী খেতে পারেন। এই খাবারগুলো ওজন কমানোর সঙ্গে শরীরেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।  


মাঝ রাতে খিদে পেলে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। চকোলেটের নাম শুনলে অনেকেই ভাবেন তা ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। কিন্তু একেবারই তা নয়। ডার্ক চকোলেটে একাধিক উপকারীতা রয়েছে। এতে রয়েছে কিছু উপকারী উপাদান। যা ডায়েটিং-এর সময় খাওয়া যায়। এটি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনই স্ট্রেস দূর করে। সে কারণে মন ভালো না লাগলে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট।  


চকোলেট মিল্কবানিয়ে খেয়ে ফেলুন রাতে। এতে পেটও ভরা থাকবে আর ওজনও বাড়বে না। খুব সহজে চকোলেট মিল্ক বানানো যায়। তবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ফ্যাট ফ্রি দুধ দিয়ে চকোলেট মিল্ক বানান। অনেকেই রাতে আইসক্রিম, ব্রাউনিজের মতো খাবার খেয়ে ফেলেন। এর থেকে অনেক উপকারী চকোলেট মিল্ক।  


ডায়েটিং করার সময় বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে বিশেষজ্ঞরা। এতে এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সঙ্গে শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ করে। আর বাদাম খেলে সহজে পেট ভরা লাগানে। তবে, বাদামের সঙ্গে অনেকের ুন খাওয়া অভ্যেস আছে। আপনারও এমন স্বভাব থাকলে তা বদল করুন। ডায়েটিং এর সময় নুন খাওয়া ভালো নয়। 


মাঝ রাতে খেতে পারেন ওটস। ওজন কমাতে ওটস খুবই উপকারী। ওটি ব্রেক ফার্স্টেও খেতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন রকম ফ্লেভারের ওটস পাওয়া যায়। এর থেকে ভালো প্লেন ওটস খাওয়া। লেট নাইট স্ন্যাক্স হিসেবেও বেশ উপকারী ওটস। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। সঙ্গে ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা লাগে। 


রাতের বেলা খিদে পেতে খেতে পারেন পপকর্ন। এটি লেট নাইট স্ন্যাক্স হিসেবে আদর্শ। পপকর্ন খেলেই ওজন বাড়ে একথা একেবারে ভুল। এটি ফাইবারে পরিপূর্ণ যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালোরি ও ফ্যাট থাকে। সঙ্গে এর একাধিক পুষ্টিগুণ হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে, ডায়েটের লেট নাইট স্ন্যাক্স হিসেবে খেতেই পারেন পপকর্ন। 


রাতের বেলা খিদে পেলে দই খেতে পারেন। ডায়েটিং করার সময় দই খাওয়ার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। রোজ দুপুরে ১ বাটি করে দই খেলে উপকার মেলে। এতে এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। চাইলে রাতেও খেতে পারেন দই। এটি লেট নাইট স্ন্যাক্স হিসেবে বেশ উপকারী দই। 

 

পিনাট বাটার দিয়ে তৈরি স্যান্ড উইচ খেতে পারেন রাতের বেলা। ব্রাউন ব্রেডে পিনাট বাটার লাগিয়ে খেয়ে নিন। এতে উপকার পাবেন। পিনাট বাটার দিয়ে তৈরি স্যান্ড উইচ ওজন বৃদ্ধি করবে না উলটে এটি খেলে পেট ভরা লাগবে। তাই মাঝ রাতে খিদে পেলে খেতেই পারেন এই স্যান্ড উইচ।  


ডিম খাওয়া যায় রাতের বেলা। ডায়েটিং এর সময় ডিম খাওয়া যে উপকারী তা সকলেরই জানা। কিন্তু, রাতের বেলা খিদে পেলে কী খাবেন তা ঠিক করতে না পারলে ডিম খেতে পারেন। ওজন কমাতে ডিম উপকারী। আর এতে থাকা একাধিক পুষ্টি গুণ শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সে কারণে নিয়মিত খেতে পারেন ডিম। 


রাতের বেলা খিদে পেলে অ্যাভোকাডো টোস্ট খান। ব্রাউন ব্রেড সেঁকে নিন। এবার অ্যাভোকাডো কেটে ভিতরের সবুজ অংশ বের করে নিন। তা পাউরুটির ওপর লাগান। ওপর থেকে চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিতে পারেন। অ্যাভোকাডো ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী। এটি খেলে ওজন যেমন কমবে তেমনই পেট অনেক্ষণ ভরা থাকবে। তাই রাতের বেলা খেতে পারেন এই খাবার। 


ডায়েটিং করার সময় রাতে খিদে পেতেই পারে। এই সময় খেতে পারেন এই কয়টি স্ন্যাক্স। ওজন কমানোর কথা মাথায় এলে আধ পেটা খেয়ে থাকবেন না। বরং, রোজ খাদ্যাতালিকায় রাখুন পুষ্টিকর খাবার। কারণে ওজন কমানোর সঙ্গে সুস্থ থাকাটাও প্রয়োজন। এই কারণে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে অবশ্যই সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলুন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.