হজম শক্তি বাড়াতে ফাইবারের ম্যাজিক!
ODD বাংলা ডেস্ক: খাবারে যেমন স্বাদ থাকা দরকার, তেমনই থাকা দরকার পুষ্টিগুণও। কারণ সবার আগে শরীর ভাল থাকাটাই আসল। আমাদের খাদ্যাভ্যাস এমন হওয়া দরকার যাতে রক্তচাপ, ফাইবার, রক্তে শর্করার পরিমাণ ইত্যাদি সঠিক থাকে। একইসঙ্গে বজায় থাকে ওজন এবং স্বাস্থ্য। ফাইবার দুই ধরণের হয়। দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য। দ্রাব্য ফাইবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। আবার যারা কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও দ্রাব্য ফাইবার খেতে পারেন। যেমন- ফল, সবজি ইত্যাদি। অদ্রাব্য ফাইবার খাবার হজম করতে এবং ডায়রিয়া সহ নানা পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে। তো দেখে নেওয়া যাক, কি কি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১. ডাল জাতীয় খাবার:
প্রতিদিনের খাবারে নিয়ম করে ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান রাখা খুবই উপকারি। কারণ এরা আমাদের শরীরকে ভাল এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনই ডাল জাতীয় খাবারগুলি উপাদানগুলি প্রোটিন, আইরন, ফোলেট, ভিটামিন এবং ম্যাঙ্গানিজের দ্বারা সমৃদ্ধ হয়। এই উপাদানগুলি নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।
২.খাদ্যশস্য:
প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে খাদ্যশস্য রাখা খুবই ভাল। কারণ এগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যেমন- ধান, রাই, ওট, বারলি, ভুট্টা, বাদামি চাল, মিলেট ইত্যাদি।
৩.বাদাম:
প্রতিদিন একটু করে নানারকমের বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভাল। যেমন- কাঠবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম ইত্যাদি। এই বাদামগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে শরীর রোগ মুক্ত তো থাকেই, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।
৪. অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডো ফাইবারে ঠাঁসা একটি ফল। সেই সঙ্গে এটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই থাকে। এখানেই শেষ নয়, শরীরে উপকারি ফ্যাটের জোগান দিতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো।
৫.নাসপাতি:
সুস্বাদু, রসালো এবং মিষ্টি এই ফল শরীরের জন্য দারুণ উপকারি। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও থাকে, ভিতামন সি, ভিটামিন কে, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম। তাই সুস্থ-সবল থাকতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৬.নারকেল:
নারকেলও ফাইবার সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফোলেট, সেলিনিয়াম ইত্যাদি। তাই খাদ্যাভ্যাসে নারকেল রাখা খুবই ভাল। নারকেল কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৭. মটরশুঁটি:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হল মটরশুঁটির। এছাড়াও, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেহের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
৮.তিসির বীজ:
তিসির বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ফাইবার থাকে। প্রতিদিন স্যালাড বা সুপের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাক্সসিড ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৯. চিয়া সিড বা রাড়ির বীজ:
চিয়া সিডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও থাকে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান। তাই তো নিয়মিত চিয়াসিড জলে ভজয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে, সেই সঙ্গে ওজনও কমে চোখে পরার মতো।
১০. কাবলি ছোলা:
কাবলি ছোলা দেহে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, কপার, প্রোটিন এবং ম্যাঙ্গানিজ নানাভাবে শরীরের কাজে লেগে থাকে।
Post a Comment