৮,৫০০ বছর পুরনো ভবন আবিষ্কার সংযুক্ত আরব আমিরাতে!
ODD বাংলা ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাড়ে ৮ হাজার বছর পুরনো ভবনের সন্ধান পেয়েছেন সে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, আবিষ্কৃত এই ভবনগুলোই দেশটির প্রাচীনতম স্থাপনা।
আবুধাবির সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগ গত বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাটির চেয়ে নতুন এই আবিষ্কার ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো।
রাজধানী আবুধাবির পশ্চিমে ঘাঘা দ্বীপে সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান চালিয়েছে দেশটির পর্যটন বিভাগ। সেখানেই পাওয়া গেছে হাজার হাজার বছর পুরনো ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবিষ্কৃত কাঠামোগুলো মূলত 'সাধারণ গোলাকার ঘরের মত'। আর ঘরের দেওয়ালগুলো পাথরের তৈরি, যেগুলো এখনও পর্যন্ত প্রায় এক মিটার (৩.৩ ফুট) উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, সারা বছর দ্বীপে নিরাপদে থাকার জন্য সম্ভবত ছোট কোনো সম্প্রদায় এই ঘরগুলো বানিয়েছিল।
তারা আরও বলছেন, এই ভবনগুলো দূর-দূরান্তের সামুদ্রিক বাণিজ্য পথ বিকাশের আগেই নিওলিথিক বসতিস্থাপনার অস্তিত্ব বহন করে। অর্থাৎ এটি প্রকৃতপক্ষে এ অঞ্চলে বসতি স্থাপনের প্রেরণা ছিলনা, যেমনটি প্রত্নতাত্ত্বিকরা আগে ধারণা করেছিলেন।
স্থাপনা ছাড়াও শতাধিক অন্যান্য নিদর্শনও এখানে খুঁজে পেয়েছেন তারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে 'পাথরের তৈরি সূচালো তীর', যা শিকারের জন্য ব্যবহার করা হত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এখানে বসবাসকারী সম্প্রদায়টি সম্ভবত সমুদ্রের বিশাল সম্পদ ব্যবহার করেই জীবিকা নির্বাহ করতো।
যদিও প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখনও নিশ্চিত নন, ঠিক কত আগে এখানে বসতি গড়ে উঠেছিল; তবে স্থাপনাগুলোর মধ্যে সমাহিত একটি মরদেহ আবিষ্কার করেছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহটি অন্তত ৫ হাজার বছর আগের।
পর্যটন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল মুবারক বলেন, "উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতার বৈশিষ্ট্যগুলো যে হাজার হাজার বছর ধরেই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বংশ পরম্পরা একটি অংশ, সেটিই প্রমাণ করেছে ঘাঘা দ্বীপের এই আবিষ্কার।"
নতুন এই আবিষ্কারের নেতৃত্বদানকারী প্রত্নতাত্ত্বিক দলটি বলছে, ঘাঘা দ্বীপের এ আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা গেল, আবুধাবির দ্বীপগুলো আগে 'উর্বর উপকূল ভূমি' ছিল; এখনকার মতো 'শুষ্ক' ও 'অবাসিক অঞ্চল' ছিল না। জমির উর্বরতা এবং পরিবেশগত অবস্থানের কারণে এই দ্বীপগুলোতে বসতি গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়েছিলেন পূর্ব পুরুষেরা।
Post a Comment