একা বাতে রক্ষা নেই সোরিয়েসিস দোসর, কাকে বলে সোরিয়েটিক আর্থেরাইটিস
ODD বাংলা ডেস্ক: সোরিয়েটিক আর্থেরাইটিস এক ধরনের ‘অটো-ইমিউন’ রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত সুস্থ টিস্যু বা কলাকে আক্রমণ করে বসে। ত্বক ও অস্থিসন্ধি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই রোগে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
১। ‘সসেজ ফিঙ্গার’: সোরিয়েটিক আর্থেরাইটিসের অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ হল ‘সসেজ ফিঙ্গার’। অর্থাৎ এই রোগে আক্রান্ত হলে হাত ও পায়ের আঙুল ফুলে ওঠে, সঙ্গে দেখা দেয় যন্ত্রণা। শুধু আঙুল নয়, নখে দেখা যায় ছোট ছোট ছিদ্রের মতো ক্ষত।
২। আঁশের মতো ক্ষত: এই রোগে অনেক সময় আঁশের মতো ক্ষত তৈরি হয়। মূলত হাঁটু ও কনুইতে এই ধরনের ক্ষতগুলি দেখা যায়। ক্ষতস্থানে মৃত কোষ জমা হতে থাকে, দেখা যায় চুলকানিও।
৩। চোখের সমস্যা: সোরিয়েটিক আর্থেরাইটিসে অনেক সময় চোখেও প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে চোখ ব্যথা করে, লাল হয়ে ওঠে, ক্ষেত্র বিশেষে আবছা হয়ে ওঠে চোখ। এই উপসর্গটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ইউভাইটিস বলে। চিকিৎসা না করালে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
৪। হাতে-পায়ে ব্যথা: অস্থিসন্ধির ব্যথা সোরিয়েটিক আর্থেরাইটিসের অন্যতম লক্ষণ। ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় নমনীয়তাও, ফলে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয় রোগীর।
৫। ক্লান্তি: এই রোগে যেহেতু বিভিন্ন অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই বিভিন্ন পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের উপরও পড়ে অতিরিক্ত ধকল। ফলে দেখা দেয় অতিরিক্ত ক্লান্তি।
Post a Comment