ইনসুলিন নিয়ে যত কথা

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  ইনসুলিন একটি জীবন রক্ষাকারী হরমোন। বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন আছে, অতি দ্রুত কার্যকর ইনসুলিন, যা খাবার পাঁচ মিনিট আগে নেওয়া যায়; দ্রুত কার্যকর ইনসুলিন, যা খাবার ৩০ মিনিট আগে নিতে হবে; মধ্যম কার্যকর ইনসুলিন, যা দিনে দুবার নিতে হয় এবং লম্বা সময় কার্যকর ইনসুলিন, যা দিনে এক বেলা নিলেই হয়। সাধারণত এটি রাতে ঘুমানোর আগে দেওয়া হয়ে থাকে।


ইনসুলিন দেওয়ার নিয়ম


ইনসুলিন সাধারণত চামড়ার নিচে দেওয়া হয়।


দুই আঙুল দিয়ে চামড়াটা টেনে ধরে ৪৫-৯০০ কোণে সুই প্রবেশ করাতে হবে, সুই পুরোটা ঢোকাতে হবে। যেসব জায়গায় ইনসুলিন দেওয়া যায়-

♦ পেটের চামড়া ইনসুলিন দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা, নাভি বাদ দিয়ে এবং নাভির ওপরে-নিচে দুই আঙুল বাদ দিয়ে পুরো পেটে একেক দিন একেক জায়গায় ইনসুলিন দেওয়া যায়।


♦ ঊরুর বাইরের পাশে


♦ বাহুর বাইরের পাশে


ইনসুলিন সংরক্ষণ


♦ ইনসুলিন কখনো ডিপফ্রিজে রাখা যাবে না। নরমাল ফ্রিজে রাখা ভালো।


♦ সরাসরি সূর্যালোক বা অত্যধিক তাপমাত্রায় ইনসুলিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে।


♦ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত অব্যবহৃত ইনসুলিন নরমাল ফ্রিজে রাখা ভালো।


♦ ব্যবহৃত ইনসুলিন কম তাপমাত্রায় রাখা যাবে, যা অত্যধিক গরম নয়, কিন্তু ইনসুলিনের নিচে দানা দানা পড়ে গেলে ব্যবহার করা উচিত না।


ইনসুলিন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা


♦ একবার ইনসুলিন নিলে সারা জীবন দিতে হয়—এটি ঠিক নয়, কিছু ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে, যেমন—অপারেশনের আগে, গর্ভাবস্থায়, ডায়াবেটিস খুব বেড়ে গেলে ইনসুলিন শুরু করে প্রয়োজনে তা আবার বন্ধ করে ওষুধে ফিরে আসা যায়।


কখন ক্ষতিকর?


♦ ইনসুলিন নিয়ে খাবার না খেলে বা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ব্লাড সুগার কমে গিয়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এটি প্রতিরোধ করার জন্য ইনসুলিন নিয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই খেতে হবে এবং অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.