ওয়াটার স্পোর্টস থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সব পাবেন আন্দামানে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। অথবা সামনেই পড়বে। এই সময়টা ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ। গরমে অনেকেই পাহাড়ে যান। কিন্তু পাহাড় তো অনেকের পছন্দ নয়। তাদের পছন্দ সমুদ্র। তাহলে কোথায় যাওয়া যায়?


একটু বেশি ছুটি:

বঙ্গোপসাগর থেকে আরব সাগর। একাধিক সমুদ্রসৈকত হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে নানা ধরনের সৈকতশহরে (Sea Beach) উপচে পড়ে ভিড়। কিন্তু অন্য কোথাও যেতে হবে। একটু আলাদা। এরকম ভাবনা রয়েছে? তাহলে আগেভাগেই একটু লম্বা ছুটি জোগাড় করুন। বেশি না, অন্তত দিন সাতেক। তাহলেই এবার প্ল্যান করা যাবে আন্দামানের।    


নীল-সবুজের কোলাকুলি:

বলা হচ্ছে আন্দামান (Andaman) দ্বীপপুঞ্জের কথা। চারদিকে নীলচে-সবুজ জলরাশি। মাঝে সবুজে ঘেরা ছবির মতো দ্বীপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে বিশ্বের যে কোনও নামকরা দ্বীপকে (Island) হেলায় টেক্কা দিতে পারে আমাদের আন্দামান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই। তার সঙ্গেই ঐতিহাসিক জায়গা হিসেবে নাম রয়েছে আন্দামানের। ভারতের ব্রিটিশ যুগে বিপ্লবীদের লড়াই এবং আত্মত্যাগের কাহিনী জুড়ে রয়েছে আন্দামান।


বিমান-জাহাজে সওয়ারি:

কলকাতা থেকে দুইভাবে যাওয়া যায় আন্দামানে। বিমানে যাওয়া যায়, জাহাজেও যাওয়া যাবে দ্বীপপুঞ্জে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার (Port Blair) বিমানবন্দরে যায় বিমান। কলকাতা থেকে কমবেশি ঘণ্টা দুয়েক লাগে পৌঁছতে। এছাড়া জাহাজেও যাওয়া যায়। তবে তাতে সময় বেশি লাগবে। শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের অফিস থেকে খোঁজ নিতে হবে। আগে থেকে জাহাজের টিকিট কাটতে হবে। কলকাতা থেকে মাসে একাধিকবার জাহাজ ছাড়ে।


কোথায় কোথায় ঘোরা যায়:

একদিকে সাগর, রংবেরংয়ের মাছ, তার সঙ্গে প্রবাল প্রাচীর (Coral Reef)। আবার আর একদিকেই সেলুলার জেল এবং ভাইপার দ্বীপ রয়েছে। পোর্ট ব্লেয়ার শহরটিও খুবই সুন্দর। শহরে রয়েছে একাধিক রেস্তরাঁ। বিভিন্ন  স্বাদের খাবার চেখে দেখার সুযোগ পাবেন। এখানে ঘোরার জন্য একাধিক দ্বীপ রয়েছে। রস আইল্যান্ড, হ্যাভলক দ্বীপ (Havlock Island) এগুলির মধ্যে অন্যতম। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে নৌ-পথে যাওয়া যায় এখানে। হ্য়াভলক দ্বীপের রাধানগর সৈকত (sea beach) আন্তর্জাতিক স্তরেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। হ্যাভলকে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি রিসর্টের পাশাপাশি একাধিক বেসরকারি হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে আন্দামান। যে বিপ্লবীদের কালাপানির নির্দেশ দেওয়া হত, তাঁদের সেলুলার জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে আটকে রাখা হতো। সেই কাহিনী তুলে ধরে সেলুলার জেলে হওয়া লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো।  আন্দামানে একাধিক ওয়াটার স্পোর্টসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকেরা মাততে পারেন তাতেও। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.