মাঝেমাঝেই পা ফুলে যায়? কেন কিডনি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জল কম খাওয়ার প্রবণতা— এ সবেরই প্রভাব পড়ে কিডনির উপর। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, মূত্রের সময় কোনও জ্বালা বা সমস্যা হচ্ছে কি না— এই পূর্ব লক্ষণগুলির দিকেই খেয়াল রাখা হয়। তবে এগুলি ছাড়াও কিডনির কোনও সমস্যা দেখা দিলে তার লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে ত্বকেও।


ত্বকের কোন লক্ষণগুলি বলে কিডনির সমস্যা তৈরি হয়েছে?


১) ত্বকের চুলকানি


ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন (এনকেএফ) অনুসারে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া বা ত্বকের চুলকানি পিত্তাশয়ে পাথর জমার সাধারণ লক্ষণ। কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ, মিনারেলসের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।


২) ত্বকের রঙের পরিবর্তন


ত্বকের রঙের পরিবর্তন ঘটাও কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। পিত্তাশয়ে পাথর জমলে বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে কিডনি স্বাভাবিক ভাবে রক্ত পরিশ্রুত করে না। ফলে ত্বকের রং ধূসর, হলুদ বা কালচে হয়ে যেতে পারে।


৩) পা ফুলে যাওয়া


পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম একটি লক্ষণ। কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল ও লবণ অপসারণ করতে সাহায্য করে। কিন্তু পিত্তাশয়ে পাথর জমার ফলে অপসারণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। ফলে ওই বর্জ্য পদার্থগুলি শরীরে জমা হওয়ার ফলে পা, গোড়ালি, মুখ, হাত ফুলে যেতে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.