আজও রহস্য, মূর্তির চোখে কেন ‘রক্ত-কান্না’?



ODD বাংলা ডেস্ক: আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমে মেটান শহরের ফ্রিয়াস পরিবারের বাড়িতে দেখা মিলবে ‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’ নামে এক আশ্চর্য মূর্তির। আর এই মূর্তিটি দেখতেই প্রতিদিন মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। 

২০১৭ সালের গোড়ার দিকে খবরের শিরোনামে আসে মূর্তিটি। তবে, কী এমন বিশেষত্ব আছে এই মূর্তিটির, যা দেখতে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ? 


সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মূর্তিটিকে সব সময়ই কাঁদতে দেখা যায়! কাঁদার সময় চোখ থেকে জল নয়,বরং লাল রঙের রক্ত বের হতে দেখা যায়। 


মূর্তিটির মালিকানা থাকা ফ্রিয়াস পরিবারের প্রধান রোসানা মেন্ডোজা ফ্রিয়াস গোটা বিষয়টি রেকর্ড করে মানুষকে দেখানোর পর এই মূর্তির কথা মুখে মুখে বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।


রোসানার করা ভিডিওতে দেখা যায়, মূর্তিটির মুখে একটি লাল তরল। দেখে মনে হচ্ছে, যেন এই তরল মূর্তির চোখ থেকে বের হচ্ছে।


এই মূর্তি প্রথম ‘রক্ত-কান্না’ শুরু করে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে। এরপর থেকে প্রায়ই এই মূর্তিতে কাঁদতে দেখা যায়। রোসানা মূর্তির চোখ থেকে লাল তরল বের হওয়ার ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করলেই তার বাড়ির বাইরে ভিড় জমে যেত।


রোসানার দাবি, তার মায়ের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে ওই মূর্তির কাছে প্রার্থনা করার পরেও একবার এই মূর্তিকে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল।


‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’ মূর্তির সঙ্গে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনাও জড়িত রয়েছে। এক নারীর দাবি, তার শরীরে একটি তিন ইঞ্চির টিউমার ছিল। কিন্তু এই মূর্তির দেখা পাওয়ার পরই নিজে থেকে এই টিউমার গায়েব হয়ে যায়!


তবে, কী কারণে মূর্তির চোখ থেকে ‘রক্ত’ পড়তে দেখা যায়, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। অনেক চেষ্টা করেও এই রহস্যের কিনারা করা যায়নি।


চার্চপপ নামক এক ওয়েবসাইটের অনুমান, মানুষকে চমক লাগাতে এই মূর্তিকে বিশেষভাবে বানানো হয়েছে। এই মূর্তির মুখে ইচ্ছে করে রক্ত ঘষে দেওয়া হতো বলেও এই ওয়েবসাইটের অনুমান। যদিও ফ্রায়েস পরিবার এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ।


এই মূর্তিকে রক্ষা করতে বাইরে রোসানা একটি কাচের ঘোরাটোপও বানিয়েছেন। এই কাচের ঘর তৈরি করতে বাইরে থেকে অর্থ সাহায্যও নেন রোসানা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.