কাঠ ঠোকরার ঘরে ঘুমিয়েছে পেঁচা, যা হলো পরে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেকটা পথ উড়ে এসে কাঠ ঠোকরাটা। সারাদিন পর বাড়ি ফিরেছে সে।  যখন ঘরের সামনে পৌঁছুলো, তখন সূর্য হেলে পড়েছে। ক্লান্ত দেহটা নিয়ে যেই না ঘরে ঢুকবে, তখনই বাধল এক বিপত্তি। ঘরের ঠিক দরজামুখেই ঘুমাচ্ছিল একটি পেঁচা। এখন কী করবে কাঠ ঠোকরা? 

এদিকে রাতভর জেগে থেকে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে পেঁচা বেচারা। দুই চোখের পাতা আর ধরে রাখতে পারছে না সে। তাই ডালে ডালে উড়ে দু-দণ্ড ঘুমানোর জায়গা খুঁজছিল। এক সময় পেয়েও গেলো। খালি একটি কুঠুরি পেয়ে টুপ করে ঢুকে পড়ল। এরপর ঘুমের রাজ্যে। এক সময় শুরু করলো নাক ডাকা, ঘড়...ঘড়...ঘড়...ঘড়...।


ওদিকে ক্ষুধায় অস্থির কাঠ ঠোকরা। খাবে। বাদাম, শস্যদানাসহ মজার খাবারগুলো সে নিজেই গাছের কুঠুরিতে জমিয়ে রেখেছে। তবু এখন পেঁচাটা যে তার ঘরে অঘোরে ঘুমাচ্ছে, আর নাক ডাকছে।


কাঠ ঠোকরা কীভাবে জাগাবে পেঁচাটাকে? অনেক ভেবে-চিন্তে কাঠ ঠোকরা একটা উপায় বের করল। সে তার ঠোট দিয়ে গাছের গায়ে ঠুকতে লাগলো, যাতে সেই শব্দে ঘুম ভাঙে পেঁচার।


কাঠ ঠোকরা একবার ডানে গিয়ে গাছে ঠোকর মারছে আরেকবার বামে গিয়ে। কিন্তু পেঁচার ঘুম যে ভাঙছেই না। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, পেঁচাটা একটু নড়ছেও না।


এদিকে কাঠ ঠুকে ঠুকে রাগটা আরো বেড়েছে তার। নিজের ঘরে অন্যের দখলদারিতে বিরক্ত সে। আর আপেক্ষা করতে পারছে না। বিরক্ত হয়ে ফের উড়াল দিলো কাঠ ঠোকরা। 


কাঠ ঠোকরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চোখ মেলে তাকালো পেঁচাটা। ঘুম তখনো পুরোপুরি কাটেনি। অধো আধো চোখে তাকাচ্ছিল। তারপর আবারো ঘুমের রাজ্যে পাড়ি।


মজার এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়ার জাতীয় উদ্যানে। পুরো ঘটনাটা দেখছিলেন পার্কে আসা ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার ট্রেসি সেপকোভিচ। তিনি খুব মজা পাচ্ছিলেন পেঁচা আর কাঠ ঠোকরার এমন কাণ্ডে। ক্যামেরাটা তাক করে রেখেছিলেন আগে থেকেই। সুযোগ বুঝেই ক্লিক দিচ্ছিলেন মাঝেমধ্যে।


ট্রেসি সেপকোভিচ গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি খুব মজা পেয়েছি। কাঠ ঠোকরা যে এতো আওয়াজ করে গেলো, তা বিন্দুমাত্র টের পেলো না পেঁচাটা। সে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল। কাঠ ঠোকরা যাওয়ার ক্ষণিক পরেই পেঁচা চোখ মেলল। তবে তা ওই পর্যন্তই। এরপর আবার ঘুমিয়ে পড়লো।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.