কবি নজরুলের লেখনীতে ছিল বিদ্রোহের মন্ত্র, রইল কবির জীবন সম্পর্কে কয়টি অজানা কথা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সাহিত্যের প্রতি তাঁর অবদানের কথা বলে ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। তাঁর লেখা আজও পরিপূর্ণ করতে সাহিত্যকে। তাঁর লেখনীর মধ্যে বার বার উঠে এসেছে সমাজের চিত্র, মিলেছে কঠিন বাস্তবের ঝলক। সে কারণে আজও তাঁর খ্যাতি বিশ্ব জোড়া।  কবি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীতে তাঁর সম্বন্ধে জেনে নিন কয়টি অজানা কথা। 


পালিত হল জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মজয়ন্তী। তাঁর কবিতা, গান, উপন্যাস ও গল্পে বাঙালি জেনেছে বীরত্বের ভাষা। তাঁর লেখায় ছিল বিদ্রোহের মন্ত্র। আজও বাঙালির প্রতিটি অনুভূতিতে জীবিত তিনি। ১৮৯৯ সালের ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নজরুল ইসলাম। মাত্র নয় বছর বয়সে পিতৃহারা হন তিনি। অল্প বয়সেই তিনি রচনা শুরু করেন। তিনি সে যুগের শ্রেষ্ট কবি, শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সাংবাদিক, সংগীতজ্ঞ, দার্শনিক ছিলেন। সাহিত্যের প্রতি তাঁর অবদানের কথা বলে ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। তাঁর লেখা আজও পরিপূর্ণ করতে সাহিত্যকে। তাঁর লেখনীর মধ্যে বার বার উঠে এসেছে সমাজের চিত্র, মিলেছে কঠিন বাস্তবের ঝলক। সে কারণে আজও তাঁর খ্যাতি বিশ্ব জোড়া।  কবি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীতে তাঁর সম্বন্ধে জেনে নিন কয়টি অজানা কথা। 


জানা যায়, ছোট বয়সে তাঁর নাম ছিল দুখু মিয়া। তবে অনেকে ‘তারা ক্ষ্যাপা’ বলে ডাকতেন। 


ছোট বয়সেই কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। বিপ্লবী কর্মকান্ডে জড়িত আছে এই সন্দেশ ১০ শ্রেণীর সেরা ছাত্র নজরুলের মাসিক ৫ টাকা হারে ছাত্র বৃত্তি কেড়ে নেওয়া হয়। যদিও পরে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বৃত্তি পুনরায় অব্যাহত রাখা হয়। 


জানা যায়, ১৯১৯ সালে ২৮ জুন ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে ৪৯ নম্বর বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়া শুরু হলে নজরুল স্থায়ীভাবে করাচী ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন। 


কলকাতায় এসে তিনি একটি মেসে ওঠেন। কিন্তু, তিনি যে মুসলিম একথা জানতে পেরে মেসের চাকর তাঁর এঁটো বাসব পরিষ্কারে আপত্তি জানিয়েছিল। শুধু মুসলমান হওয়ার জন্য তাঁকে এই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।  


বিবাহিত জীবন নিয়েও কবিকে সম্মুখীন হতে হয়েছে নানান জটিলতার। নার্গিসের সঙ্গে ১৭ জুন, ১৯২১ সালে বিবাহ হয় নজরুলের। কিন্তু, শ্বশুড়বাড়ি থেকে তাঁকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিলে তিনি নার্সিকরে দৌলতপুর ছেড়ে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারবেন না। বিয়ের এই শর্তে অপমানিত ও ক্ষুদ্ধ হন নজরুল। সেই কারণে কনেকে গ্রহণ করেননি। শুধু তাই নয়, তিনি বিয়ের রাতে ক্লান্ত মন নিয়ে দশ এগারো মাইল হেঁটে কুমিল্লা শহরেরর কান্দিরপাড়ে বীরেন্দ্র সেনগুপ্তের বাড়িতে আসেন।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.