নারীদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে যেসব সমস্যা হতে পারে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একসময় খুব অল্প বয়সে নারী বিয়ে হয়ে যেত। প্রায়ই ১১, ১২ অথবা আরো কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার খবর শোনা যেত। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। এই সংখ্যা প্রায় নগণ্যের কাছে চলে এসেছে। এখন মেয়েরা পড়াশোনা, বিভিন্ন পেশাদার জিনিসপত্রের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। চাকরি, ক্যারিয়ার আঁকড়ে ধরছেন। তারপরই তারা বিয়ে করা পছন্দ করছেন।

তবে বেশি বয়সে বিয়ের কারণে নারীদের কিছু সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে। সেই সমস্যাগুলো কি, আজকে আমরা সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক- 


সঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়ে   


নারীদের কম বয়সে বিয়ে করার সুবিধা ছিল যে, তখন তারা ছোট থাকতেন এবং সঙ্গীর সঙ্গে নিজেকে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারতেন। তালমেলও অনেক ভালো থাকতো। কিন্তু এখন লম্বা সময় সিঙ্গেল এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট থাকার পর বিয়ে করে সঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে তা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে এবং ডিভোর্সে-এ গিয়ে তা শেষ হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আরো ভয়ানক পরিণতি হয়। যেমন- এর ফলে অনেক সময় প্রাণও হারাতে হয়েছে। 


নতুন জিনিস এক্সপ্লোর করার মন থাকে না


কম বয়সে মেয়েদের মধ্যে নতুন জিনিস শেখার শখ যেমন থাকে নতুন করে আবিষ্কারের আনন্দ থাকে, সেটি যত বয়স বাড়তে থাকে তত কিন্তু কমে আসে। স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতেই যখন ত্রিশ বত্রিশ বছর বয়সে গিয়ে কোনো নারী বিয়ে করেন, তখন তার জীবনের সিস্টেমটাকে অন্যভাবে পরিচালিত করার পর নতুন করে অন্য সিস্টোন সেটিকে ইমপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হয় না। এমনকি ঘোরা-ফেরা, আনন্দ করা, সেগুলো থেকেও মন আস্তে আস্তে উঠে যায়।


গর্ভধারণে সমস্যা


নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। একজন ১৮-২০ বছর বয়সের মেয়ের যা ক্ষমতা থাকে ৩০ পার হয়ে গেলেই সে ক্ষমতায় অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। পাশাপাশি আমাদের লাইফস্টাইল, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের হেক্টিক সিডিউল আমাদের শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি কড়াভাবে প্রভাবিত করে। পুরুষ-নারী দুজনেই প্রভাবিত হলেও নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃত্ব সমস্যা তৈরি হয়। গর্ভধারণ করা এবং গার্ড রেখে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক রকম সমস্যা তৈরি হয়। সান্ত্বন তৈরির প্রক্রিয়াতে সমস্যা তৈরি হয়। এতে ডেলিভারির সময় মা এবং বাচ্চার প্রাণের ঝুঁকি থেকে যায়।


পার্টনার পছন্দ করার বিকল্প কমে আসে


নারী-পুরুষ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প লাইফ পার্টনার বাছাটা কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো বিয়ে না করলে অনেক সময় দেখা যায় যে বাড়ির লোকের চাপে এমন ভাবে বিয়ে করতে হয়, যা তাদের পছন্দ ছিল না বা তাদের সেই বাছাইয়ের সময় থাকে না। যা পরে অ্যাডজাস্ট করতে বড় সমস্যা দেখা দেয়। এরপরে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয় এবং একাকীত্ব গ্রাস করে নেয় স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই। এরপরই স্বামী বা স্ত্রীর ক্ষেত্রে তৈরি হয় বিভিন্ন রকম বহিমুখী প্রবণতা তৈরি হয়। যার পরিণতি কখনোই সুখের হয় না।


ফিজিক্যাল ইন্টিমেসি কমে যায়


শারীরিক মিলনের সমস্যা তৈরি হয়। দৈহিক মিলনে অনীহা তৈরি হয়। যা সুস্থ যৌন জীবনকে ব্যাহত করে। যা ২০, ২২, ২৫ বছরে কাপল এনজয় করতে পারেন, সেটি আর ৩৫-৪০ এ গিয়ে আর আনন্দদায়ক থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মানসিক চাপ, শারীরিক পরিশ্রম, সব মিলিয়ে বয়স বাড়লে সক্ষমতা কমতে থাকে। যা জীবনের লম্বা সময় পর্যন্ত প্রভাবিত করতে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.