কুমড়ো বীজের তেলের গুণে বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা, সঙ্গে চুল ও ত্বকের যোগাবে পুষ্টি
ODD বাংলা ডেস্ক: সুস্বাস্থ্য বজা রাখতে নিয়মিত সবজি খাওয়া জরুরি। বিভিন্ন সবজিতে থাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল-সহ একাধিক খনিজ উপাদান। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তেমনই শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে। এমন কিছু সবজি আছে যার খোসাতেও রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। তেমনই কোনও কোনও সবজির বীজ খাওয়াও ভালো। এমনই একটি সবজি হল কুমড়ো। কুমড়োর বীজে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। যা শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে। আজ তথ্য রইল কুমড়ো বীজের তেল প্রসঙ্গে। কুমড়ো বীজের তেল বিশ্বের সব থেকে ব্যয় বহুল ভেষজ তেলগুলোর মধ্যে একটি। এই শরীর সুস্থ রাখার সঙ্গে ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। রইল কুমড়ো বীজের তেলের গুণের খোঁজ।
বর্তমানে হার্টের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। অল্প বয়সেই দেখা দিচ্ছে এই রোগ। এই হার্টে রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন কুমড়ো বীজের তেলের দ্বারা। এই তেলে ভিটামিন এ, বি ১, বি ২, বি ৬, সি, ই- এর মতো একাধিক উপাদান থাকে। এতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। যার গুণে হার্টের জন্য ভালো। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সঙ্গে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
নানা কারণে ত্বকে সংক্রমণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে গরমে নানা রকম জটিলতা দেখা যায়। ত্বকের সমস্যা সমাধান হবে কুমড়ো বীজের তেলের গুণে। কুমড়ো বীজের তেল থাকে অ্যান্টি অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য আছে। স্নানের জল ২ ফোঁটা তেল ফেলে দিন। সেই জলে স্নান করুন। এতে ত্বকের যে কোনও সমস্যা সমাধান হবে।
শরীরের সঙ্গে চোখ বভালো থাকে কুমড়ো বীজের তেলের গুণে। চোখের জন্য ভালো কুমড়ো বীজের তেল। এতে থাকে একাধিক উপকারী উপাদান। যার জন্য চোখের ক্লান্তি দূর করতে ও ছানি নিরাময়ে বেশ উপকারী কুমড়ো বীজের তেল।
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন কুমড়ো বীজের তেল। এই তেল দিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন। ত্বক হবে উজ্জ্বল। তেমনই গরমে অনেকেই ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা সমাধানে হাতিয়ার করুন কুমড়ো বীজের তেল। তুলোয় করে এই তেল নিয়ে ব্রণর ওপর লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন উপকার পাবেন।
রান্নায় দিতে পারেন কুমড়ো বীজের তেল। এই তেল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। কুমড়ো বীজের তেলে থাকে একাধিক উপকারী উপাদান। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিক না থাকলে যে কোনও রোগে সহজে আক্রান্চ হতে পারেন। তাই সুস্থ থাকতে কুমড়ো বীজের তেল দিয়ে রান্না করতে পারেন।
প্যানক্রিয়েটাইটিস থেকে মুক্তি মিলবে কুমড়ো বীজের তেলের গুণে। বর্তমানে বহু মানুষ প্যানক্রিয়েটাইটিসে সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ তো খাবেনই, তার সঙ্গে মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া টোটকা। রোজ খালি পেটে ১ চামচ তেল খান খান। এতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা।
বর্তমানে অধিকাংশ মেয়েই গাইনোকোলজিকাল সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা দূর করতে কুমড়ো বীজের তেল বেছে নিন। এই তেল খেলে কিংবা এই তেল দিয়ে মাসাজ করতে মাসিকের সময় পেট ব্যথা কমে যায়। পিরিয়ডস সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে কুমড়ো বীজের তেলের গুণে। তাই মেনে চলুন এই টোটকা।
চুলের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন কুমড়ো বীজের তেল। এই তেল দিয়ে মাসাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। অধিক চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল অবস্থা প্রায় সকলের। এর থেকে মুক্তি পেতে কুমড়ো বীজের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
ত্বক উজ্জ্বল হবে কুমড়ো বীজের তেলের গুণে। এই তেল দিয়ে বানাতে পারেন প্যাক। একটি পাত্রে ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ ওটস ও সম পরিমাণ কুমড়ো বীজের তেল নিন। ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানান। তা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
ওজন কমাতে চাইলে খেতে পারেন. কুমড়ো বীজের তেল। এই তেলে থাকা একাধিক উপাদান ওঝন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য আমরা নানা রকম প্রচেষ্টা গ্রহণ করি। মেনে চলি নির্দিষ্ট ডায়েট। এবার তাতে যোগ করুন কুমড়ো বীজের তেল। শরীরের বাড়তি মেদ কমবে কুমড়ো বীজের তেলের গুণে।
Post a Comment