ডায়াবিটিস চিন্তা বাড়াচ্ছে? দাওয়াই হতে পারে এক টুকরো দারচিনি
ODD বাংলা ডেস্ক: রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে পরিচিত মশলার মধ্যে অন্যতম হল দারচিনি। বিরিয়ানি হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, ফোড়নে দারচিনি না পড়লে ঠিক জমে না! তবে কেবল স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয়, বিভিন্ন বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসাবেও দারচিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মশলায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কোলাইন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরপুর মাত্রায় থাকে।
জানেন কি ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে দারচিনি?
টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায়। মশলাটি গ্লুকোজ গ্রহণের জন্য কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে। দারচিনি খেলে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও দারচিনিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগের উপস্থিতি মিলেছে। যা সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
দারচিনির আরও গুণাগুণ
শুধুমাত্র ডায়াবিটিসের সমস্যাই নয়, পেটের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেও দারচিনি গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েরিয়ার মোকাবিলা করার জন্যও দারচিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদে, দারচিনির ছাল অনেক সময়ে দাঁতের যন্ত্রণায় বা গাঁটের ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সর্দি-কাশি হলেও দারচিনি খেলে উপশম মেলে।
কোন কোন উপায়ে ডায়েটে দারচিনি রাখা যেতে পারে?
১) সারা রাত এক গ্লাস জলে একটি বড় টুকরো দারচিনি ভিজিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে দারচিনি ভেজোনো জল খান।
২) দারচিনি দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। দারচিনির মধ্যে মিষ্টি ভাব রয়েছে। এই চা খেতে মন্দ লাগে না।
৩) অনেকেই সকালের জলখাবারে ওট্স খান। দুধে ওট্স মিশিয়ে খাওয়ার সময়ে এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়বে আর স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
Post a Comment