গল্পের গরু নয়, বাস্তবে এই দেশে গাছে চড়ে ছাগল, কেন জানেন!

ODD বাংলা ডেস্ক: কেউ আষাঢ়ে গল্প বললে অনেক সময়েই বলে থাকেন আষাঢ়ে গল্প। কিন্তু এ কোনও আষাঢ়ে গল্প নয়, এই দেশে আদতেই গাছে চড়ে ছাগল। মরোক্কোতে গেলে এই দৃশ্য আপনি প্রায়শই দেখতে পাবেন। মরোক্কোর এই ছাগলরা এক বিশেষ প্রজাতির গাছে ওঠে। সেই গাছের নাম অর্গানিয়া স্পিনোসা, যার প্রচলিত নাম আর্গন গাছ, যার ফল থেকে তৈরি হয় আর্গন তেল। 

গাছটি দক্ষিণ-পশ্চিম মরোক্কোতে দেখা যায়, এটি মূলত কাঁটা জাতীয় গাছ, যাতে হলুদ রঙের ফুল হয়। আর এই আর্গন গাছের ফল খেতেই রীতিমতো গাছে চড়ে বসে ছাগল। মরোক্কোর মার্‌রাকেচ এবং এসাউইরার মধ্যবর্তী দীর্ঘ পথ ধরে দু’পাশে সারি সারি আরগান গাছে ছাগল চড়ার দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। আর এখানকার কৃষকরাও এইসমস্ত ছাগলদের গাছে উঠতে উৎসাহিত করে। 

প্রসঙ্গত মরোক্কোতে এই আরগন তেলের ব্যবসাই হল আয়ের প্রধান উৎস। কারণ আরগন তেল প্রসাধনীর উপকরণ হিসাবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে যে জিনিসটা তাদের আয়ের প্রধান উৎস সেটিকে কেন খেতে দেওয়া হয় ছাগলকে। প্রসঙ্গত, ছাগলরা এই এই আর্গন ফলের বাদাম হজম করতে পারে না। তারা আর্গন ফলের পাল্প খাওয়ার জন্য খোসাটা ছাড়িয়ে নিয়ে গোটা ফলটা গিলে ফেলে। এরপর মলত্যাগের সময় বীজটি যখন বের হবে তখন বীজটি অনেক নরম হয়ে যায়, যা থেকে তেল নিষ্কাশনে অনেক সুবিধা হয়। এইভাবেই বাস্তবে গাছে তোলা হয় ছাগলদের। 

এর পাশাপাশি ছাগলে গাছে চড়ে আছে এমন দৃশ্য দেখতে স্বভাবতই ছবি তোলার শখ হয় পর্যটকদের। কিন্তু এখানে বিনা পয়সায় ছবি তোলা যায় না। ছবি তোলার জন্য স্থানীয় কৃষকদের টাকাও দিতে হয়, এভাবেই আয়ের আরও এক পথ খুলে গিয়েছে সেখানকার মানুষদের কাছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.