খাওয়ার আগে না পরে, কখন মিষ্টি খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশি ক্ষতিকর?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দুপুর হোক বা রাত খাওয়ার শেষে মিষ্টি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে কোনও সমস্যা হতে পারে কি?


মিষ্টি খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছেন। তবে অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যসচেতন। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ইদানীং তাই মিষ্টি খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন অনেকে। তবু বাঙালির শেষপাতে মিষ্টি না হলে ঠিক জমে না। দুপুর হোক বা রাত— খাওয়ার শেষে মিষ্টি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু শেষ পাতে মিষ্টি খাওয়াটা শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে আদৌ ভাল কি?


বিয়েবাড়ি, রেস্তঁরা বা বাড়িতে যদি প্রচুর পরিমাণে ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া হয় তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝাল বা তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ দিকে মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হতে পারে না। তাই শেষপাতে মিষ্টি না খেয়ে খাওয়ার আগে মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে। এতে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কম থাকে।


এ ছাড়াও অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়ার পর শরীরের রক্তচাপ অনেকাংশে কমে যায়। সেই সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।


খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে এক ধরনের অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। এই অ্যাসিড বদ হজম, অম্বল, বুক জ্বালার মতো সমস্যার জন্ম দেয়।


মিষ্টি জাতীয় খাওয়ার শেষে খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।


শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া কখনও ভাল নয়। কারণ মিষ্টি বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমবে যা পরবর্তীতে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.