ওজন কিছুতেই কমছে না? তিন যোগেই হবে কামাল



 ODD বাংলা ডেস্ক: সুঠাম, মেদহীন শরীরের গঠন সকলেই চান। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, কায়িক শ্রম কম করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব— বিভিন্ন কারণে পেটের মেদ বাড়তে পারে হু হু করে। ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও সময় লাগে না। তবে ইচ্ছে থাকলেই উপায় বেরোয়। জিমে না গিয়ে, মুঠো মুঠো বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট না খেয়েও পেটের মেদ ঝরানো সম্ভব। নিয়মিত কয়েকটি যোগাসন করলেই হতে পারে সমস্যার সমাধান। কোন আসনে ফল মিলবে সর্বাধিক, রইল সেই হদিশ।


অধো-মুখ স্বনাসন: এই ভঙ্গির জন্য ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। এ বার, আপনার হাতের তালু আপনার সামনে রেখে মাথা নীচু করে সামনের দিকে বেঁকে যান। ধীরে ধীরে আপনার দু’টি পা পিছনের দিকে টানটান করুন এবং সাবধানে ভারসাম্য বজায় রাখুন যাতে পা এবং হাত একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। গভীর ভাবে শ্বাস নিন এবং ৩০ সেকেন্ডের জন্য অবস্থান ধরে রাখুন। মেদ ঝরাতে এই যোগের জুড়ি নেই। এ ছাড়াও, ঋতুস্রাবের সময়ে শারীরিক অস্বস্তির মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রেও এই আসন সাহায্য করে।


সর্বাঙ্গাসন: চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলেরখায় থাকে। থুতনি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে মনে মনে ৩০ গুনুন। শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ ভাবে তিন বার অভ্যাস করুন। আসনটি প্রথম প্রথম দু’ থেকে তিন বার করুন। তবে ভাল ভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেলে একেবারে মিনিট খানেক সময় নিয়ে আসনটি অভ্যাস করলে আর একাধিক বার করার দরকার হয় না। শরীরের প্রায় সব পেশির ব্যবহার করার ফলে এর মতো কার্যকর আসন খুব একটা নেই। বাড়তি ফ্যাট ঝেড়ে ফেলা ছাড়াও বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেও এই আসন সাহায্য করতে পারে।


বীরভদ্রাসন: দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা ও আকাশের দিকে মুখ করা থাকে। এর পর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড স্থির হয়ে থেকে ২০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তার পর অন্য দিকে আবার করুন ২০ সেকেন্ডের জন্য। ওজন ঝরাতে এই আসন নিয়মিত করতেই পারেন। তবে মনে রাখবেন মেরুদণ্ড, অস্থি সন্ধি বা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞদের নজরদারি ছাড়া এই আসন না করাই শ্রেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.