তিমির বমিতে রাতারাতি কোটিপতি থাইল্যান্ডের এই নারী

ODD বাংলা ডেস্ক: বমি নামটা শুনলেই গা গোলায় তাই না, অথচ এই বমি দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি থাইল্যান্ডের এক নারী। জানা গেছে, তিমি মাছের বমি তার ভাগ্য ফিরিয়েছে। এই নারীর নাম সিরিপর্ন নিয়ামরিন। তিনি থাইল্যান্ডের নাখন সি থাম্মারাট প্রদেশের বাসিন্দা। তার বয়স ৪৯ বছর। জানা যায়, সিরিপর্ন নিয়ামরিন নামক এই নারীর থাইল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে বাড়ি, তাই সময় কাটাতে সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন।    

হঠাৎ জলের ঢেউয়ে পাড়ে ভেসে আসে আজব এক জিনিস, যা থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ আসে। তিনি সেটা বাড়িতে নিয়ে যান। তখন বাড়ির আশেপাশের লোকজন দেখে বলেন এটি অন্য কিছু নয়, বহু মূল্যবান ‘তিমির বমি’, যা অ্যামবারগ্রিস নামে বেশি পরিচিত। জানা গেছে,সিরিপর্ন নিয়ামরিন যে অ্যামবারগ্রিসটি পেয়েছেন তার বাজারমূল্য দুই লাখ, ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (যা প্রায় দুই কোটি টাকার সমান)। সিরিপর্ন নিয়ামরিন নামক এই নারীর পাওয়া অ্যামবারগ্রিসটি ১২ ইঞ্চি পুরু এবং ২৪ ইঞ্চি লম্বা।

উল্লেখ্য, ‘তিমির বমি’ বা এই অ্যামবারগ্রিস আসলে বিশ্বের বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেরই একটি অংশ। একে ‘ভাসমান সোনা’ এবং ‘সমুদ্রের গুপ্তধন’ও বলা হয়। মূলত ‘স্পার্ম হোয়েল’-এর শরীরেই এটি তৈরি হয়। সেখান থেকেই বমির মাধ্যমে এটি সমুদ্রের পানিতে মিশে যায়। প্রথমে এর থেকে মাছের মতো আঁশটে গন্ধ বের হয়, তারপর আস্তে আস্তে খুবই সুন্দর গন্ধ বের হয়। এর ফলে এটি থেকেই সুগন্ধী তৈরি হয়। 

আন্তর্জাতিক বাজারে এই অ্যামবারগ্রিসের দামও অনেক বেশি। আপাতত সিরিপর্ন ওই অ্যামবারগ্রিসটি বিক্রি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই টাকা দিয়ে কী করবেন? এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে সিরিপর্ন জানান, ওই টাকা দিয়ে নিজের কমিউনিটির মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.