এবার তেলেভাজা খাওয়ার দিন শেষ!


ODD বাংলা ডেস্ক: ভারতের যেকোনও প্রান্তের যেকোনও প্রদেশে কিন্তু ভাজাভুজি খাওয়ার একটা চল আছে। আর বাঙালির কাছে তো তেলেভাজার একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। কিন্তু, যদি আচমকা আপনার তেলেভাজা খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়! কী হবে তখন?  পরিসংখ্যান বলছে, এবার হয়তো পাকাপাকিভাবে এমন জিভের সুখ ভুলতে হবে দেশবাসীকে! এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতির জন্য  ইউক্রেনের যুদ্ধকেই (Russia Ukraine War)কাঠগড়ায় তুলছেন তাঁরা।

বিশ্বে সবথেকে বেশি পামতেল উৎপন্ন করে ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। গত সপ্তাহেই তারা ঘোষণা করেছে, আপাতত কিছুদিনের জন্য পামতেলের রফতানি বন্ধ রাখবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ। কারণ, দেশের অন্দরেই ভোজ্য তেলের আকাল তৈরি হয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে হু হু করে। এই অবস্থায় রফতানিতে রাশ টেনে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের বক্তব্য, একে তো অতিমারির ধাক্কা, তার উপর ইউক্রেনের যুদ্ধ। গোটা বিশ্বেই ভোজ্য তেলের রফতানি কমেছে। যার জের গড়িয়েছে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত।

এদিকে, ভারতীয় খাবারে ভোজ্য তেলের প্রয়োজনীয়তা যে কতটা, তা বলাবাহুল্য। ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। যার প্রায় ৫৬ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ভারতকে এই তেল সরবরাহ মূলত সাতটি দেশ। এর মধ্যে পামতেল, সয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলের ব্যবহারই সবথেকে বেশি করা হয়। আমদানি করা ভেজিটেবল অয়েলের মধ্যে আবার ৯০ শতাংশই আমদানি করা হয় ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে। এবার যুদ্ধের কারণে ইন্দোনেশিয়া যদি ভোজ্য তেলের রফতানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে সবথেকে বেশি সমস্যা হবে ভারতের।

চলতি বছর শুধুমাত্র ভোজ্য তেল আমদানি করতেই ভারতের খরচ হবে প্রায় ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। যা দুবছর আগের খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে সরকার বাধ্য হবে তেলের আমদানি কমাতে। অর্থাৎ, প্রকারান্তে কপাল পুড়বে খাদ্যপ্রেমীদের। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.