বগলের কালচে দাগছোপ কিছুতেই যাচ্ছে না? কোন উপায়ে হবে মুশকিল আসান



ODD বাংলা ডেস্ক: বিকেলেই অফিসের পার্টি! একটা হাতকাটা মিনি ড্রেস পরে অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হবেন ভাবছেন। তবে বাহুমূলের কেশ পরিষ্কার করতে সালোঁতে যাওয়ার সময় নেই। তাই বাড়িতেই বাজার চলতি ক্রিম ও রেজারের মাধ্যমে সেরে নিলেন অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কারের কাজ।


নিয়মিত রেজার কিংবা বাজারচলতি ক্রিম ব্যবহার করে বগলের লোম তুললে ত্বকের উপর কালো দাগ পড়ে। সহজে সেই দাগ ওঠেও না। হাতকাটা কোনও পোশাক পরতে গেলেই সেই দাগ কিন্তু শত্রু হয়ে উঠতে পারে আপনার সাজের। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। রইল তারই হদিশ।


লেবু: লেবুকে প্রাকৃতিক ব্লিচ বলা যেতেই পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর লেবু নাছোড় দাগ সরাতে দারুণ কাজে আসে। শেভিংয়ের পর বগলের কালো দাগ দূর করতে প্রতি দিন স্নানের সময় পাতিলেবু লাগান। নিয়মিত এই পন্থা মেনে চললে দূর হবে বগলের কালো দাগছোপ। আরও ভাল ফল পেতে লেবুর সঙ্গে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাতিলেবু দু’টুকরো করে তাতে চিনি লাগিয়ে নিন। চিনি গলে না যাওয়া অবধি বাহুমূলে ঘষতে থাকুন। হবে মুশকিল আসান।


অলিভ অয়েল: এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের সঙ্গে কিছুটা ব্রাউন সুগার মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণ বগলে লাগালে সহজেই মুক্তি পাবেন দাগছোপের সমস্যা থেকে।


আলুর রস: শরীরের যে কোনও দাগ সরাতে আলুর রস কিন্তু দারুণ উপকারী। দাগছোপ দূর করার পাশাপাশি শরীরের যে কোনও অংশের চুলকানির সমস্যা দূর করতেও আলুর রস বেশ উপকারী। কয়েক ফালি আলু বেটে তার রস বার করে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন বাহুমূলে। শেভিংয়ের পরে তো বটেই, নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন এই রস লাগান বগলে। কালো দাগ গায়েব হবে সহজেই।


গোলাপ জল ও বেকিং সোডা: এক চামচ বেকিং সোডা নিয়ে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। দাগছোপ দূর করতে, মিশ্রণটি সপ্তাহে দু’ থকে তিন বার বগলে লাগাতে পারেন। মিনিট পাঁচেকের বেশি রাখবেন না যেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.