মহাভারতে ব্যবহৃত বিমানের অস্তিত্ব রয়েছে আফগানিস্তানে? নেপথ্যে কোন রহস্য


ODD বাংলা ডেস্ক:  আফগানিস্তানের মরুভূমিতে প্রাচীন মহাকাব্য 'মহাভারত'-এ বর্ণিত এক বিমানের হদিশ পাওয়ার খবর মিলেছিল বেশ কিছু বছর আগে।জানা যায়, ৮জন সদস্যের একটি মার্কিন সেনা দল ৫০০০ বছরের সেই সুপ্রাচীন বিমানটির সন্ধান পেয়েছিল।২০১৩ সালের মার্চ মাসে বিশেষ অনুসন্ধানের মাধ্যমে তারা একটি গুহার মধ্যে সেই বিমানটির সন্ধান পান। মনে করা হয় হিন্দুশাস্ত্রের মহাভারত এবং বেদে 'ভিমানা' নামে যে উড়ন্ত যানের কথা বলা হয়েছে এটি সেগুলোর মধ্যেই একটি হবে। মহাভারতে বর্ণিত বিমানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এটির বৈশিষ্ট্যও মিলে গেছে।

মার্কিন সৈন্যের একটি অনুসন্ধানকারী দল এক অভিযানে এ বিমানটি আবিষ্কার করেন। তারা বিমানটি সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিমানটি অদ্ভুত কোনো শক্তি দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে। সেজন্য তারা সরাতে পারেননি। উল্টো সেই ৮ সদস্য একেবারে নিঁখোজ হয়ে যান। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী দল তাদের আর কোনো হদিসই পায়নি। ধারণা করা হয় বিমানটির অদ্ভুত সুরক্ষা ব্যবস্থার কারণে তারা নিখোঁজ হয়ে গেছে। সেখানে হয়তো কোনো ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ মাধ্যাকর্ষণ ফিল্ড আছে। আর সেই সুরক্ষা ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে সময় কূপ। তবে গুহাটিতে নিখোঁজদের ব্যবহৃত একটি ক্যামেরা পাওয়া গেছে। সেটি নিয়ে গবেষণা অব্যাহত।

বিমানটি সম্পর্কে প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত এবং বেদে যে ধারণা দেওয়া আছে, তা ভীনগ্রহের কোনও প্রযুক্তি কিনা তা নিয়েও গবেষণা চলছে। আর বিমান আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ওই গুহায় প্রাচীনকালের কিছু লেখারও সন্ধান মিলেছে। সেসব নিয়েও গবেষণা চলছে। অনেকেই মনে করছেন অবশেষে প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত এর হিসাবটা মিলল এবার।

সময় কূপ কি? মহাভারতে বলা আছে যে, বিমানটি একটি সময় কূপ দ্বারা আচ্ছাদিত। এর চারপাশে হয়তো এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ মাধ্যাকর্ষণ ফিল্ড আছে। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এটিকে ইউনিফিল্ড ফিল্ড থিউরি বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই থিওরিকে ১৯৪৩ সালে ফিলাডেলফিয়া থিউরি হিসেবে পরীক্ষা করা হয়।  সেই গুহায় মার্কিন সেনাদের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা থিওরিটিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।

তাছাড়াও মহাভারত এবং বেদে ভিমানিকা শাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সেই বিমানের যেমন বৈশিষ্ট্য ধারণা দেওয়া আছে ঠিক সেই একই ধরনের বৈশিষ্ট্য আফগানিস্থানের গুহায় পাওয়া সে বিমানেও পাওয়া গেছে।বেদে বলা হয়েছে এই যানটি এক ধরনের অলৌকিক শক্তির মাধ্যমে চলাচল করে। এটি জলে,বাতাসে আবার স্থলভাগ দিয়েও চলতে পারে। এই যানটির কাছে যদি কেউ যায় তাহলে সে আর ফিরে আসতে পারে না। যানটির বিশেষ এক শক্তি আছে যা অন্যান্য জীবকে খেয়ে ফেলে। অর্থাৎ কোনো ধরণের বিকিরণের কারণে জীবটি অদৃশ্য হয়ে যায়। সেটি উচ্চমানের লেজারও রশ্মিও হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন সেনারাও যানটির কোনো বিকিরণের শিকার হয়েছে।

স্যার ডেসমন্ড লেসলি বলেছেন মহাভারত এবং বেদে যে ধরণের প্রাচীন যানের কথা বলা আছে সেটি আসলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিরোধী বাহন। বেদে বাহনটির যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে হিরোশিমায় ফেলা পারমানবিক বোমার মিল আছে। বেদে বলা আছে যানটি ভগবান ব্রহ্মা পরিচালনা করতেন। তবে অনেক জায়গায় বলা আছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভগবান এটিকে পরিচালনা করেছেন। যেমন ভগবান কুবেরও এটিকে পরিচালনা করেছেন। এই তথ্য প্রমাণগুলো হিন্দু ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে স্পর্ষ্ট করে লেখা আছে। আবার অনেকের মতে সেখানে কিছু ভুলও থাকতে পারে। কারণ গ্রন্থগুলো সেই আমলের সংস্কৃত ভাষায় লেখা। যার অনেক শব্দের অর্থ অনেকেই সঠিক ভাবে উদ্ধার বা কোন ব্যাখ্যা করা যায়নি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.