মহিলারা কখনও স্বামীকে এই কথাগুলি বলেন না, জানেন কেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ে এমন একটা সম্পর্ক যার মধ্যে ভালবাসা যতটা থাকে, ততটাই থাকে বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সততা। কিন্তু সম্পর্ক ঠিক রাখতে গেলে সবসময় মনের কথা উজাড় করে দেওয়া উচিত নয়। তাহলে ভেঙে যেতে পারে দাম্পত্য। তাই স্বামী যেমন স্ত্রীয়ের থেকে কিছু কথা লুকিয়ে রাখেন, ঠিক তেমনই স্ত্রীও অনেক কথা বলেন না স্বামীকে।

এর মধ্যে প্রথমেই আছে প্রাক্তন সম্পর্কের কথা। মেয়েরা কখনও তাঁদের প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্কে স্বামীকে বলে না। তার অবশ্য কারণও আছে। অনেক সময় দেখা যায়, প্রাক্তনের কথা বর্তমানকে বললে অশান্তি বাড়ে। দেখা গিয়েছে, প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের কথা শুনে স্বামী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কথা প্রসঙ্গে টেনে আনে পুরনো দিনের ঘটনা। হয়তো জেনেবুঝে নয়। কিন্তু স্বামীর মুখে প্রাক্তনীর কথা শুনতে কার ভাল লাগে। তাই সবচেয়ে ভাল উপায়- সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল।

যখন কোনও মেয়ের বিয়ে হয়, তার উপর বিশাল দায়িত্ব থাকে। নতুন পরিবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয় তাকে। এদিকে ছেলের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পর বাবা-মা ছেলেকে আগের মতো করে পান না। ফলে নিজেদের অজান্তেই পুত্রবধূকে মেনে নিতে পারেন না শ্বশুর-শাশুড়ি। সংসারে নতুন সদস্য। তার সবকিছুই নতুন। আদব কায়দা থেকে আচার আচরণ। সাজানো সংসারে কে মেনে নেবে এমন কাণ্ড? ফলে নিশ্চিতভাবে সমস্যা শুরু হয়। স্বামীকেও সে নিজের কথা বলতে পারে না। কারণ কোনও ছেলেই তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধাচরণ সহ্য করতে পারে না। ফলে জাঁতাকলে পিষে যায় বধূ। কিন্তু মুখ ফোটে না।

অনেক সময় বিয়ের পর চাকরি ছাড়তে হয় মেয়েদের। বিশেষ করে সন্তান হয়ে গেলে ঘরে বাইরে সামলানো অনেকের পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই চাকরি করা সম্ভব হয় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সন্তান ও সংসার একসঙ্গে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু স্বামীকে এই নিয়ে কোনও স্ত্রী কিছু বলতে পারে না। অনেকের মতে, ‘ও তো রাত করে বাড়ি ফেরে। আমি আশাও করি না ও আমাকে বাড়ির কাজে সাহায্য করবে বা ছেলেমেয়েকে সামলাবে। আর আমাকে সমর্থন করবে বলেও আশা করি না আমি।’

অনেক সময় দেখা যায়, কোনও মেয়ে চার দেওয়ালের মধ্যে তাঁর বরের সঙ্গে যেসব কথা বলে তা তাঁর অজান্তেই চলে যায় শাশুড়ির কানে। এমনকী নিজের বাবা-মা, আত্মীয় বা বন্ধুদের ব্যাপারেও আলোচনা করা যায় না। সেইসবও চার দেওয়ালের বাইরে চলে যায়। আর তারপর কোনও না কোনও কথায় মেয়েটির বাড়ি বা বন্ধুদের সেইসব কথা নিয়ে খোঁচা খেতে হয় তাঁকে। তাই সচরাচর নিজের বাড়ি বা বন্ধুদের কথা মেয়েরা তাঁদের স্বামীদের বলতে চান না।

বিছানায় সুখী না হলেও মেয়েরা মুখ খোলে না। কেউ কখনও বলে না ‘আমার ফোরপ্লে পছন্দ’ বা ‘আমি ওয়াইল্ড সেক্স পছন্দ করি না’। কারণ অনেক সময় দেখা যায় এতে সম্পর্কের উন্নতির বদলে অবনতি হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.