জগন্নাথদেবের রথের নাম কী এবং এর উচ্চতা কত, জানেন কি


ODD বাংলা ডেস্ক:
১লা জুলাই রথযাত্রা উৎসব। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা জগতবিখ্যাত। প্রতি বছর রথ উপলক্ষে পুরীতে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত সমাগম হয়। এদিন রথে চড়ে মন্দির থেকে বের হন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা তাঁদের মাসি বাড়ি 
গুণ্ডিচা মন্দিরে যান।। জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রার সঙ্গে বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ তথ্য জড়িত।

বিষ্ণুর অন্যতম অবতার জগন্নাথ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই রথের নির্মাণ শুরু হয়ে যায়। রথ তৈরি করতে প্রায় ২ মাস সময় লাগে। প্রতি বছর বসন্ত পঞ্চমীর দিনে দশপল্লার জঙ্গল থেকে কাঠ একত্রিত করা শুরু হয়। ২০০-র বেশি সেবায়েত মিলে বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথের জন্য তিনটি পৃথক রথ নির্মাণ করেন। প্রতি বছর রথযাত্রার জন্য নতুন রথ তৈরি করা হয়। তখন পুরনো রথ ভেঙে দেওয়া হয়।

পুরাণ মতে জগন্নাথ প্রথমবার যখন পূর্ণিমার দিনে স্নান করেন, তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পর ১৪ দিন একান্তবাসে থাকেন তিনি। এ সময় জড়িবুটির সাহায্যে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। পঞ্চদশ দিনে সুস্থ হয়ে প্রকাশ্যে আসেন জগন্নাথ। এরপর রথযাত্রার দিনে তিনটি পৃথক রথে সওয়ার থাকেন জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। এর মধ্যে বলরামের রথ সবার আগে থাকে। মাঝখানে সুভদ্রা ও শেষে জগন্নাথের রথ থাকে।

এই তিনটি রথের পৃথক নাম রয়েছে। বলরামের রথ তালধ্বজ নামে পরিচিত। লাল ও সবুজ রঙের রথ বলরামের। সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা পদ্মরথ। কালো অথবা নীল ও লাল রঙের রথ হয় সুভদ্রার। জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ বা গরুঢ়ধ্বজ। লাল-হলুদ রঙের রথটিই জগন্নাথ শ্রীকৃষ্ণের।

জগন্নাথের নন্দীঘোষের উচ্চতা ৪৫.৬ ফুট, বলরামের তালধ্বজ ৪৫ ফুট উঁচু এবং সুভদ্রার দর্পদলনের উচ্চতা ৪৪.৬ ফুট। এই সমস্ত রথ নিম কাঠ দিয়ে তৈরি, একে দারু বলা হয়। ভালো ও শুভ নিম কাঠ দিয়ে রথ নির্মিত হয়। নিম কাঠ নির্বাচনের দায়িত্ব রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের এক সমিতির ওপর।রথ তৈরির সময় কোনও ধরনের পেরেক বা কাঁটার ব্যবহার করা হয় না।

তিনটি রথ তৈরি হয়ে গেলে ছর পহনরা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এ সময় পুরীর রাজা পালকী করে এখানে আসেন। নিয়ম মেনে তিনটি রথের পুজো করার পর সোনার ঝাটা দিয়ে মণ্ডপ ও পথ পরিষ্কার করেন স্বয়ং রাজা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.