পেটে ব্যথা হলে কীভাবে বুঝবেন এটা অ্যাপেন্ডেসাইটিস, জেনে নিন


ODD বাংলা ডেস্ক: অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ হল অ্যাপেন্ডিসাইটিস। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এই প্রদাহ হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করলে এর থেকে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কারও অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ হলে তা বারবার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

এ ক্ষেত্রে অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের শেষে বৃহদান্ত্রের শুরুতে অবস্থিত। এটির ব্যাস আমাদের অন্ত্রের তুলনায় অনেক কম হয়। অন্ত্রের সাপেক্ষে অবস্থানেরও বিভিন্নতা হয়। কিছু অবস্থানের অ্যাপেন্ডিক্স প্রদাহের শিকার হয় বেশি।

কারণ

অ্যাপেন্ডিসাইটিস কার হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তা বলা মুশকিল। খাদ্যাভ্যাস বা জীবনাচরণ পদ্ধতির সঙ্গে এর কোনো সুনির্দিষ্ট যোগ নেই। বিশেষ কিছু অবস্থানের অ্যাপেন্ডিক্স প্রদাহগ্রস্ত হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। তবে এসব ক্ষেত্রেও অ্যাপেন্ডিসাইটিস হবেই, তা বলা যায় না।

লক্ষণ

♦ অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণ তীব্র পেট ব্যথা

♦ সঙ্গে বমি ও জ্বর থাকতে পারে।

♦ পেটের ডান পাশের নিচের দিকে ব্যথা বেশি অনুভূত হয়

তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে পেটের ডান পাশে ব্যথা হতে পারে। নারী-পুরুষ ভেদে ব্যথার কারণ বিভিন্ন হয়।

কী করণীয়

অ্যাপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধ করার জন্য তেমন কিছুু করণীয় নেই। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি অবশ্যই অনুসরণীয়। তবে যে কারণেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস হোক না কেন, অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে ব্যথার লক্ষণ মূল্যায়ন করা যায়। 

জ্বর, বমি ও পেটের ডান পাশে তীব্র ব্যথা, এমন হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দ্রুত পরামর্শ নেওয়া উচিত। সার্জারি একটি অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আর অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও এসংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। তবে উপযুক্ত পরীক্ষা ও মূল্যায়নের পর অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শল্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.