আপেলের সঙ্গে বীজও খেয়ে ফেলেন? এখনই সাবধান হোন, হতে পারে বিষক্রিয়া

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একটি করে ফল প্রতি দিন খেলে নাকি কখনও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে না! এমনই বলা হয়ে থাকে আপেল প্রসঙ্গে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হোক কিংবা বাড়তি ওজনের— আপেল হতেই পারে ভাল দাওয়াই, এমনটাই মনে করেন চিকিৎসকরা। পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এই আপেলের বীজের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মারাত্মক বিষ। আপেল খাওয়ার সময় বীজ ফেলে খাওয়ারই নিয়ম, তবুও অনেক সময়ে ভুলবশতই আমরা খেয়ে ফেলি এই বীজ। যার ফল হতে পারে মারাত্মক!


আপেলের বীজে অ্যামিগাডলিন নামক উপাদান থাকে। এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের সংস্পর্শে এসে সায়ানাইড উৎপন্ন করে। শরীরে চিনির সঙ্গে সায়ানাইড মিশে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক বিষ তৈরি হয়। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সায়ানাইড নামক রাসায়নিকটি মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ রুখে দিতে পারে।


শরীরে অত্যধিক মাত্রায় সায়ানাইড গেলে আমাদের হৃদ্‌যন্ত্র ও মস্তিষ্ক অচল হয়ে যেতে পারে। কোমায় চলে যাওয়া, এমনকি, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। অল্প পরিমাণ পেটে গেলে মাথা ধরা, বমি, পেট ব্যথা, দুর্বলতা, খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।


আপেল ছাড়াও চেরি, অ্যাপ্রিকট, প্লাম, পিচের মতো ফলের বীজে সায়ানাইড থাকে। এই সব বীজের শক্ত খোলসের মধ্যে অ্যামিগাডলিন জমা থাকে।


ঠিত কতগুলি আপেলের বীজ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তা নির্ভর করে ওজনের উপর। সাধারণত ০.৫ থেকে ৩.৫ মিলিগ্রাম সায়ানাইডই মানুষের শরীরের জন্য বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। ১ গ্রাম আপেল বীজ গুঁড়োর মধ্যে ০.০৬-০.২৪ মিলিগ্রাম সায়ানাইড থাকে। তাই মুখে আপেলের বীজ পড়লে ফেলে দেওয়াই ভাল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.