৫ আয়ুর্বেদিক টোটকা: দূর হবে মুখের দুর্গন্ধ
ODD বাংলা ডেস্ক: দাঁতের সমস্যা ও মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া জমা হওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে অনেকেরই মুখে দুর্গন্ধ হয়। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় হ্যালিটোসিস বলে। কম জল খাওয়া, ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস, খারাপ অন্ত্রের স্বাস্থ্য, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, তীব্র অ্যাসিডিটি, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া ইত্যাদি নানা কারণে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৫ টোটকা যা হ্যালিটোসিস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে—
১। দিনে দু’বার দাঁত মাজুন (সকালে এবং সন্ধ্যায়): সকালে দাঁত মাজা এবং জিভ পরিষ্কার করা মুখের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন নির্মূল করতে সাহায্য করে। রাতেও একই কাজ করা বাঞ্ছনীয়, কারণ পরিষ্কার মুখ নিয়ে ঘুমাতে গেলে, রাতে জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে পারে না। নিমের কাঠি দিয়ে দাঁতন করাও বেশ কার্যকর হতে পারে। এই পদ্ধতি প্রাচীন হলেও বেশ কার্যকর।
২। খাবারের পরে মৌরির বীজ খাওয়া: মৌরি বীজ পাচনে সহায়তা করে। পাশাপাশি মৌরি ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি লালা প্রবাহকে উদ্দীপিত করে। যা শুষ্ক মুখ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। তা ছাড়া মৌরি বীজের সুগন্ধ মুখের দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৩। খাবারের পরে কুলকুচি ও গার্গল করা: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, খাবার খাওয়ার অব্যবহিত পরে জল পান করা ঠিক না। কারণ এটি বিপাকের গতি ধীর করে দিতে পারে। কিন্তু মুখ পরিষ্কার করার জন্য জল অপরিহার্য, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরে। তাই যে কোনও খাবার খাওয়ার পর কিছু জল মুখে ভরে ২-৩ মিনিটের জন্য সজোরে কুলকুচি করতে হবে, যাতে মুখে খাদ্যকণা জমে না থাকে।
৪। সঠিকভাবে খাবার খাওয়া: ঘন ঘন খাবার খেতে থাকলে খাবার মুখে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বার বার খেলেও বারবার দাঁত মাজা সম্ভব নয়। তাই মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পরপর দু’টি খাবারের মধ্যে অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধান রাখা বাঞ্ছনীয়।
৫। পর্যাপ্ত জল পান করা: শরীরের প্রতিটি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জল পান করা খুবই জরুরি। মুখের স্বাস্থ্য রক্ষাও তার ব্যতিক্রম নয়।
তবে মনে রাখবেন, অনেক সময় মুখের দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই দীর্ঘ দিন এই সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
Post a Comment