ভবানীপুরে জোড়া খুনের কিনারা! পুলিশের জালে ২


ODD বাংলা ডেস্ক: তিনদিনের মাথায় ভবানীপুর জোড়া খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। ভবানীপুরের গুজরাতি দম্পতি খুনে সন্দেহভাজন দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ সহ একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, টাকা পয়সা নিয়ে অশান্তির জেরেই এই খুন। দুইজনকে গ্রেফতার করা হলেও এই ঘটনায় একজন মাস্টারমাইন্ড রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার সন্ধানে পুলিশ। সে ওই দম্পতির পূর্বপরিচিত বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনাস্থলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার সন্দেহভাজন ২ ব্যক্তি।

তদন্তের শুরু থেকেই অভিযুক্তরা যে দম্পতির পরিচিত তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল পুলিশ। এবং বিনা বাধায় ঘরে প্রবেশ করেছিল দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, এলাকার সচল সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য মিলিছে মৃত দম্পতির এক আত্মীয়ের কাছ থেকেই। তবে এই ঘটনায় মূল চক্রান্ত অন্য কারও বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি। বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীর নিশ্চিত লুঠ নয়, লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে খুন।

জানা গিয়েছে সম্প্রতি নিজেদের ভবানীপুরের এই ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন গুজরাটি দম্পতি। সূত্রের খবর, ওই গুজরাটি দম্পতির বাড়ির একটি দরজা বন্দ থাকলেও অপরটি ছিল খোলা। ঘরের মধ্যে চলছিল টিভি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল খাবার। একনজরে দেখে বোঝার উপায়ই নেই এই ঘরেই খুন হয়েছেন ওই দম্পতি। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, ভালো করে খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, খুনের আগে আততায়ীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়েছে ওই দম্পতির।

এদিকে উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরেই নিহতদের বাড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুজরাটি দম্পতির বাড়িতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''ছেলেবেলা থেকে আমরা এখানে থাকি। কোনওদিন এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে? যারা বাইরে থেকে এসে এখানে বদমাইশি করবে, তারা দ্রুত শাস্তি পাবে।'' একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ''ভবানীপুরের হত্যাকাণ্ডে ৯৯ শতাংশ তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।'' মুখ্যমন্ত্রী কথা থেকেই এদিন ইঙ্গিত মেলে, কলকাতা পুলিশ দ্রুত এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে চলেছে। তারপর বৃহস্পতিবার সকালেই গ্রেফতার হয় দুজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.