ওজন কমাতে ফল খান, জেনে নিন কোন কোন ফল খেলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাড়তি ওজন নিয়ে কম-বেশি সকলেই চিন্তিত। ওজন কমাতে আমরা কত কী করে থাকি। ডায়েট করতে গিয়ে অর্ধেক খেয়ে থাকি। তেমনই চলে এক্সারসাইজ। তাছাড়া সঠিক সময় খাবার খাওয়া তো আছেই। এই সব করেও যে সহজে ওজন কমে তা নয়। এর প্রধান কারণ হল ভুল ডায়েট চার্ট। ওজন কমাতে কোন খাবার কত পরিমাণ খেতে হবে তা সহজে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। এই কারণে সহজে ওজন কমে না। এবার ওজন কমাতে ফল খান। আজ রইল ১০টি ফলের হদিশ। যা খেলে সহজে কমবে ওজন। ডায়েটিং করার সময় এই ফলগুলো খেতে পারেন। এই সকল ফলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। সঙ্গে থাকে একাধিক উপকারী উপাদান। 


খেতে পারেন জাম্বুরা। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। রয়েছে ফাইবার। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডায়েটের সময় ডাম্বুরা খেলে ওজনের ওপর প্রভাব পড়ে। এই ফল ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি রক্তচাপ ও প্রদাহ রাখে নিয়ন্ত্রণে। দুপুরে খাবার আগে অর্ধেক জাম্বুরা খান। এতে পেট ভরা থাকবে। সঙ্গে কমবে ওজন। 


গরমে ফলের বাজার ভরে গিয়েছে তরমুজে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি, খনিজ পদার্থ, লাইকোপিনের মতো উৎস। প্রতিদিন ২ কাপ করে তরমুজের রস খান। দুপুরে খাবার ১ ঘন্টা আগে তরমুজ খান। এতে ওজন কমবে। এতে থাকা লাইকোপিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। তাই ওজন কমানোর সঙ্গে শরীর থাকবে সুস্থ।  


পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সঙ্গে ওজন কমায়। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ পাতিলেবু খান। সকালে খালি পেটে গরম জলে পাতিলেবুর রস চিপে খেতে পারেন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। ভালো থাকবে জরায়ুও।


আপেল খেলে কমবে ওজন। এতে জল, বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিঊ ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। রোজ খেতে পারেন আপেন। শরীর সুস্থ রাখতে এটি বেশ উপকারী। সঙ্গে এটি ওজন কমাতে পারে। ওজন কমাতে অনেকে অ্যাপেল ডায়েট প্ল্যান মেনে চলেন। এক্ষেত্রে সারাদিন আপেল খেয়ে থাকতে হয়। এই ডায়েট খুব উপকারী।


খেতে পারেন ব্লুবেরি। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রুবেরিতে আছে অ্যানথোসায়ানিন। এউ সকল উপদানা মেদ কমাতে সাহায্য করে। তেমনই কোলেস্টেরল কমবে এর গুণে। ব্লুবেরি, ওটস ও বাদাম, দুধ দিয়ে মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন রোজ। এতে উপকার পাবেন। এই স্মুদি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই খিদেও পাবে না। 


খেতে পারে অ্যাভোকাডো। ফাইবার, মনোস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে একে। এটি ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। যা সহজে ওজন কমাতে সাহায্য করে। সঙ্গে এই সকল উপাদান শরীর রাখে সুস্থ। এবার থেকে খেতে পারেন অ্যাভোকাডো। ওজন দ্রুত কমাতে এই ফল বেশ উপকারী। 


কলা খেতে পারেন রোজ একটা করে। কলাতে ফাইবার, ভিটামিন ও পটাসিয়ামের মতো উপাদান থাকে। এগুলো ওজন কমাতে বেশ উপকারী। কলার স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। এটি ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক থাকবে। নিয়মিত একটি করে কলা খান। 


ডালিম খেতে পারেন ডায়েটের সময়। এতে অ্যান্থোসায়ানিন, ট্যানিন, পলিফেবস ও ফ্ল্যাভোনয়েড আছে। যা ওজন কমাতে বেশ উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এটি শরীর রাখে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। ডায়েটের সময় খেতে পারেন ডালিম। এই ফল শরীরের জন্য বেশ উপকারী। রোজ সকালে খেতে পারেন ডালিম। 


খেতে পারেন কিউই ফল। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ করে। কিউই ফ্যাট কোযগুলোর আকারা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের টক্সিন কমাতে সাহায্য করে। এই ফলে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে থাকে। নিয়ম করে খেতে পারে কিউই। 


দিনে ৬ থেকে ৭টি করে স্ট্রবেরি খান। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা টক্সিন দূর করে সঙ্গে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে রক্তের লিপিড প্রোফাইল উন্নত করতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে স্ট্রবেরি। আজ রইল ১০টি ফলের হদিশ। যা খেলে সহজে কমবে ওজন। ডায়েটিং করার সময় এই ফলগুলো খেতে পারেন। এই সকল ফলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। সঙ্গে থাকে একাধিক উপকারী উপাদান। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.