ভেঙে গেল ‘বিটিএস’
ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ঝড় বইয়ে দেওয়া কোরিয়ান ব্যান্ড ‘বিটিএস’। কে-পপ ঘরানার গান ও ব্যতিক্রম উপস্থাপনার জন্য ব্যান্ডটি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সংগীতের সেরা পুরস্কার গ্র্যামি কিংবা বিলবোর্ড অ্যাওয়ার্ডস সবেতেই নিজেদের অবস্থান জাহির করেছে তারা। এমনকি জাতিসংঘের সদরদফতর থেকে হোয়াইট হাউজ; সবখানেই পৌঁছে গেছে দলটি।
তবে এবার বিটিএসের পথচলায় ছেদ। এখন থেকে তারা দলবদ্ধ হয়ে নয়, বরং একক ক্যারিয়ারে নজর দেবেন। অর্থাৎ যার যার মতো করে আলাদা গান করবেন। সহজ ভাষায় বলা যায়, ভেঙে গেছে বিটিএস।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ছিল ব্যান্ডটির বার্ষিক ‘ফিসতা’ ডিনার। এরপরই তারা আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন। সম্মিলিতভাবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বিটিএস-এর এমন ঘোষণা তাদের ভক্তদের মনে বিশাল এক ধাক্কা দিয়েছে।
বিটিএস-এর অন্যতম সদস্য আরএম বলেন, আমি সবসময়ই বিটিএসকে অন্য ব্যান্ডগুলোর চেয়ে আলাদা ভেবেছি। কিন্তু কে-পপ ও পুরো ‘আইডল’ পদ্ধতির সমস্যা হলো এটা আপনাকে পরিণত হওয়ার সুযোগ দেবে না। আপনাকে গান চালিয়ে যেতে হবে এবং কিছু না কিছু করতে হবে।
এক ভিডিও বার্তায় ব্যান্ডটির আরেক সদস্য সুগা বলেন, আমরা এখন আলাদা হয়ে যাব। আরেক সদস্য জিমিন বলেছেন, এখন আমাদের নতুন ভাবনা শুরু হলো। কী ধরনের শিল্পী হিসেবে ভক্তরা আমাদের মনের রাখব।
পুনরায় এক হওয়ার আশাও ছাড়ছেন না বিটিএস মেম্বাররা। ভক্তদের আশা দেখিয়ে জে-হোপ বলেন, আমরাদের এখন আলাদাভাবে সময় কাটাতে হবে। শিখতে হবে কীভাবে আবার একত্র হওয়া যায়। আশা করি আপনারা এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখবেন না, স্বাস্থ্যকর এক ব্যবস্থা হিসেবেই ভাববেন।
ফিরে আসার প্রত্যাশায় বিটিএস সদস্য জাংকুক বলেন, প্রতিজ্ঞা করছি, নিশ্চিতভাবেই কখনো না কখনো আমরা এখনকার চেয়ে আরো পরিণত হয়ে ফিরে আসব।
উল্লেখ্য, বিটিএস ব্যান্ডটি গড়ে উঠেছিল ২০১০ সালে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল ব্যান্ড বলা যায় এটিকে। এ পর্যন্ত তাদের অ্যালবামের কপি ৩২ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। গানের পাশাপাশি তারা মানবিক ও সামাজিক নানান কার্যক্রমে সক্রিয়।
Post a Comment