যৌন চাহিদা মেটাতেই পৃথিবীতে আসে এলিয়েনরা

ODD বাংলা ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসে ওরা। যৌন চাহিদা চরিতার্থ করতে মানুষ খোঁজে। কখনও সঙ্গমে লিপ্ত হয়, কখনও আবার শরীর পছন্দ হলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নাহ, স্টিভেন স্পিলবার্গ কিংবা রিডলি স্কটের কোনও সিনেমার কথা হচ্ছে না। সত্যিই এ পৃথিবীতে যৌন চাহিদা মেটাতে আসে এলিয়েনরা। নিজের বইয়ে এমনই দাবি করেছেন জেরোমে ক্লার্ক নামের মার্কিন লেখক।
আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট এবং প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে গবেষণার জন্য মার্কিন মুলুকে পরিচিত জেরোমে ক্লার্ক। সম্প্রতি নিজের ইন দ্য লেট টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি’ বই প্রকাশ করেন তিনি। সেখানেই দাবি করেছেন, যৌন চাহিদা পূরণ করতে পৃথিবীতে আসে এলিয়েনরা। গত দুই দশক ধরে এই কারণেই একাধিক মানুষকে অপহরণ করা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে অন্তত ২১২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং এলিয়েনদের সঙ্গে যৌনক্রিয়া করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে বইটিতে দাবি করা হয়েছে।

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একাধিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জেরোমে। যাঁদের মধ্যে একজন পিটার খাউরি। অস্ট্রেলিয়ার এক নিউজ কোম্পানি রয়েছে পিটারের। পিটার জানান, এক রাতে তিনি যখন ঘুমোচ্ছিলেন আচমকা তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন দুই মহিলাকে দেখতে পান। অদ্ভূত দেখতে ছিলেন দু’জন, দাবি পিটারের। তাঁর কথায়, একজনের মাথায় সাদা পরচুল ছিল, আরেকজনকে এশিয়ানদের মতো দেখতে ছিল। দু’জনেই হাঁটু মুড়ে তাঁর পায়ের কাছে লাস্যময়ী ভঙ্গীতে ছিলেন। সাদা চুলের মহিলা নিজের উন্মুক্ত বুকে পিটারের মুখ চেপে ধরেন। পিটারও সাড়া দেন যৌন আবেদনে। কিন্তু সঙ্গমের চরম অবস্থার আগেই দু’জনে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রমাণ হিসেবে সাদা পরচুলটি তাঁর কাছে রয়ে যায় বলে দাবি করেন পিটার।

এমনই আরও এক মহিলার অভিজ্ঞতার কথা জেরোমের বইয়ে লেখা রয়েছে। মহিলা জানান ক্রুজে করে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে গর্ভবতী হয়ে যান। এখনও তাঁর মেয়েকে অর্ধেক মানব অর্ধেক ভিনগ্রহের জীব হিসেবে ডাকা হয়। এমন অনেকেই নিজেদের কাহিনি জেরোমিকে জানিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নগ্ন অবস্থায় প্রতক্ষদর্শদের সামনে এসেছে এলিয়েনরা। খুব কম তাঁদের শরীরে পোশাক দেখা গিয়েছে। আবার স্কিনটাইট পোশাকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। বই প্রকাশ্যে আসার পরই পাঠকমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এক পক্ষ একে কেবল অলীক কল্পনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, আরেক পক্ষের দাবি বাস্তব থেকেই তো কল্পনা অনুপ্রেরণা পায়!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.