গায়ে র‌্যাশ বেরোচ্ছে? ত্বকের সমস্যা না কি কোনও কঠিন অসুখের উপসর্গ, কী করে বুঝবেন



 ODD বাংলা ডেস্ক: ত্বকের যত্ন নিয়ে অনেকেই সচেতন। ঘরোয়া টোটকা বা পার্লারের পেশাদার সাহায্য— বাদ পড়ে না কোনও চেষ্টাই। কিন্তু তাতেও র‌্যাশ, ফুসকুড়ির বাড়বাড়ন্ত! যখন তখন ব্রণর হামলা আর কমছে কই? কোনও কোনও ক্ষেত্রে অকারণ প্রদাহ ও চুলকানিরও শিকার হতে হয়। তবে র‌্যাশ বেরোনো মানেই ত্বকের কোনও সমস্যা নাও হতে পারে। বেশ কিছু অসুখের উপসর্গও হতে পারে র‌্যাশের বাড়বাড়ন্ত।


ত্বকে র‌্যাশ কোন কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে?


মাঙ্কি পক্স


বিশ্বজুড়ে কোভিড আতঙ্কের মাঝেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বাড়তে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, শরীরে তৈরি হওয়া কোনও ক্ষত, নাক কিংবা চোখের মাধ্যমেও অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস। এ ছাড়া যৌনমিলনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই সংক্রমণ। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথার মতো কিছু প্রাথমিক উপসর্গ তো রয়েছেই। এ ছাড়াও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। শরীরে ছোট ছোট অসংখ্যা ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে। ফ্লুইডযুক্ত ফুসকুড়ি শরীরে দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।


মেনিনজাইটিস


মেনিনজিস হল আমাদের মস্তিষ্কের একদম বাইরের আবরণ। এর আবার তিনটি স্তর আছে। একদম বাইরের স্তরের নাম ড্যুরাম্যাটার, মাঝের স্তর অ্যারকনয়েড ম্যাটার আর একদম ভিতরে পায়াম্যাটার। এই তিনটে স্তরের মাঝখানে থাকে অজস্র সূক্ষ্ম রক্তজালক। কোনও ভাবে এখানে জীবাণু পৌঁছে গেলেই গোলমালের সূত্রপাত। ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া এখানে পৌঁছে আক্রমণ করলে মেনিনজিসের প্রদাহ হয়, তাই অসুখের নাম মেনিনজাইটিস। জ্বরের সঙ্গে ভয়ানক মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, ঝিমিয়ে পড়া, আলো ও শব্দ শুনলে তিতিবিরক্ত হওয়া (ফটোফোবিয়া), ঘাড় নাড়ানো অসম্ভব হয়ে যাওয়া, খিটখিট করা— এ সবই মেনিনজাইটিসের উপসর্গ। এর পাশাপাশি সারা শরীরে র‌্যাশের প্রকোপও মেনিনজাইটিসের লক্ষণ হতে পারে।


লিমফোমা


এই প্রকার ক্যানসারে প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম ত্বকে র‌্যাশের বেরোনো। সারা গায়ে লাল ছোপ, ফুসকুড়ি দেখা দিলে এক বার ক্যানসারের পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়া জরুরি। এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায় ধরা পরলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.