শরীরচর্চা সারার পর কোন খাবার খেলে গোটা পরিশ্রম জলে যাবে



 ODD বাংলা ডেস্ক: শরীর ভাল রাখতে অনেকেই এখন মন দিচ্ছেন শরীরচর্চায়। কিন্তু স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শুধু নিয়মিত শরীরচর্চা করলেই চলবে না, খাবারদাবারও খেতে হবে মেপে। ভুল খাদ্যাভ্যাসের দরুন অনেক সময় অধরাই থেকে যায় শরীরচর্চার সুফল।


১। স্যালাড: অনেকেই শরীরচর্চা করার পর পরই স্যালাড জাতীয় খাবার খান। পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন, শরীরচর্চার অব্যবহিত পরে স্যালাড না খাওয়াই ভাল। কারণ স্যালাডে সাধারণত প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। আর ফাইবার হজম করতে সময় লাগে বেশি। শরীরচর্চার পর দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তসঞ্চালনের প্রয়োজন হয়, তাই এই সময় খাদ্যনালিতে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া ঠিক নয়।


২। স্পোর্টস ড্রিঙ্ক: যাঁরা খুব কড়া শরীরচর্চা করেন না, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শরীরচর্চা সম্পন্ন হয়ে যায়, তাঁদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জল পান করাই যথেষ্ট। আলাদা করে স্পোর্টস ড্রিঙ্ক পান করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু স্পোর্টস ড্রিঙ্কে থাকে ‘রিফাইন্ড সুগার’। এই উপাদানটি সবার জন্য ভাল নয়।


৩। জল: শরীরচর্চার আগে, শরীরচর্চার সময় ও শরীরচর্চার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত জল পান করা। সাধারণ ভাবে, শরীরচর্চার পর অন্তত ৫০০ মিলিলিটার জল পান করতে হবে অবশ্যই। আর যাঁরা একটু কঠোর শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ একটু বেশি। সে ক্ষেত্রে ইলেকট্রোলাইট মেশানো জলও পান করা যেতে পারে।


৪। কার্বোহাইড্রেট: অনেকেই শরীরচর্চার পর প্রোটিন মিশ্রিত পানীয় খান। কিন্তু শর্করাসমৃদ্ধ কোনও খাবার খান না। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, শরীরচর্চার অব্যবহিত পর প্রোটিন যে রকম দরকার, তেমনই দরকার কার্বোহাইড্রেটও। বিশেষ করে পেশির ক্লান্তি দূর করতে প্রোটিনের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়াও সমান জরুরি।


৫। কিছুই না খাওয়া: শরীরচর্চার পর কিছুই না খাওয়া খুবই বড় ভুল। অনেকেই ওজন কমানোর নেশায় এই কাজটি করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেশিতে পর্যাপ্ত জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া খুবই জরুরি, শরীরচর্চার পর কিছু না খেলে হরমোন, শর্করা প্রভৃতির ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে।


তবে মনে রাখতে হবে সবার শরীর সমান নয়, সব বিষয় সকলের সহ্য হবে এমনও ভেবে নেওয়া ঠিক নয়, ফলে শরীরচর্চা করতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে করাই বাঞ্ছনীয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.