মানুষ চাঁদে গেলে চলাচল করবে কীসে? এবার মিলবে ভাড়া গাড়ি!


ODD বাংলা ডেস্ক: মানুষ চাঁদে গেলে চলাচল করবে কীসে? সেখানে কি গাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে? এর উত্তর হল, হ্যাঁ। চাঁদেও গাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে। চাঁদের সরকারি কোনো মিশন পরিচালনা করা হলেও সেই মিশনের নভোচারীরাও ভাড়া নিতে পারবেন এই গাড়ি। মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস এবং মহাকাশ, সামরিক ও প্রতিরক্ষা যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন যৌথভাবে এ গাড়ি তৈরি করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেসের খবরে বলা হয়েছে, গত বছর জেনারেল মোটরস ও লকহিড মার্টিন যৌথভাবে চন্দ্রযান নির্মাণের ঘোষণা করা হয়েছিল। এই যান নভোচারী ও তাঁর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চাঁদে নিয়ে যাবে। এখন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা চাঁদে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার কাজও করবে। চন্দ্রপৃষ্ঠে চলাচলের উপযোগী প্রয়োজনীয় সব ধরনের গাড়ি তৈরিতে কাজ করছে তারা। এসব গাড়ি বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান যেমন স্পেস এক্স বা ব্লু অরিজিনেরও কাজে লাগবে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাও চাইলে এই গাড়ি ভাড়া নিতে পারবে।

২০২৫ সাল নাগাদ চাঁদে মনুষ্যবাহী মিশন পরিচালনা করা হবে। এই মিশনের আগেই ‘লুনার মবিলিটি ভেহিকল’ নামের বিশেষ যান চাঁদে প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে জেনারেল মোটরস ও লকহিড মার্টিন।ফক্স বিজনেসকে জেনারেল মোটরসের মুখপাত্র বলেছেন, চাঁদে মিশনের আগেই সেখানে চন্দ্রযান পাঠানো হবে। সেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অন্য দেশের জন্যও তা ভাড়া দেওয়া হবে। এসব গাড়ি চলবে সৌরশক্তিতে। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও অনেক সহজ। এগুলো ১০ বছরের বেশি সময় টেকসই হবে।

তবে চাঁদের গাড়ি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির চেয়ে সেগুলো চাঁদে পাঠানোকে উপযুক্ত মনে করছে জেনারেল মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এই চাঁদের গাড়ি বিক্রি করা চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিভিন্ন দেশের নভোচারী বা মহাকাশ সংস্থাগুলো ভিন্ন স্পেস স্যুট ব্যবহার করতে পারে চাঁদের মিশন পরিচালনার জন্য। এ কারণে সবার জন্য একই জাতীয় নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধব্যবস্থা প্রয়োজন। চাঁদের আবহাওয়ায় টিকে থাকতে হলে গাড়িতে দুটি সিটের মধ্যবর্তী অনেকটাই ফাঁকা জায়গা প্রয়োজন। দুটি স্পেস স্যুট কাছাকাছি এলে ঘষা লেগে ছিঁড়ে যেতে পারে, যা নভশ্চরদের জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।

জেনারেল মোটরসের পক্ষ থেকে চাঁদের গাড়ি তৈরির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০-এর দশকে বোয়িংয়ের সঙ্গে জেনারেল মোটরস লুনার রোভিং ভেহিকল (এলআরভি) তৈরি করেছিল। এর মধ্যে এলআরভি-১, এলআরভি-২ ও এলআরভি-৩ চাঁদের পৃষ্ঠে ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালে চালানো হয়। কিন্তু এরপর থেকে মানুষ আর চাঁদে যায়নি। নাসার নভোচারীরাও ওই গাড়ি ফেরত আনেননি। এখনো চাঁদের পৃষ্ঠে ওই গাড়ি অবশিষ্টাংশ রয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.