ঠাকুর ঘরে কোন দেবতার পাশে কোন দেবতার মূর্তি রাখবেন না ? নাহলেই বিপদ…



 ODD বাংলা ডেস্ক: গৃহের সবচেয়ে পবিত্র স্থান ঠাকুর ঘরকে মনে করা হয়। যদিও দেবতার বিচরণ সর্বত্র, তবুও মনে করা হয় দেবতা এই স্থানে অধিষ্ঠান করেন। আর সেই কারনে ঠাকুর ঘরকে আমারা সুন্দর করে সাজিয়ে রাখি। পরিষ্কার পরিছন্ন রাখি। শুদ্ধ আচার নিয়ম পালন করার চেষ্টা করি। শাস্ত্র মতে অশুভ শক্তিকে বাড়ি থেকে দূরে রাখতে ঠাকুর ঘরে এইসব নিয়ম গুলো মেনে চলা উচিত।


ঠাকুর ঘরের দরজা যেন লোহার না হয়, স্বয়ংক্রিয় ভাবে যেন দরজা বন্ধ না হয়ে যায়। ঠাকুর ঘর এমন জায়গায় হওয়া উচিত যেখানে আলো বাতাস চলাচল করতে পারে। এমনটা হলে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করতে পারবে না।


ঠাকুর ঘরে সবসময় ঘণ্টা রাখা উচিত এবং পুজোর সময় অবশ্যই বাজাতে হবে। এতেও নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়। বাস্তুমতে ঠাকুর ঘরের দেওয়াল হলুদ বা সাদা বা হালকা নীল রঙ করা উচিত, আর মেঝে হওয়া উচিত সাদা।


বাথরুম আর রান্নাঘর থেকে সবসময় দূরে রাখা উচিত ঠাকুর ঘরকে। ঠাকুর ঘরের প্রদীপ উত্তরপূর্ব কোণে রাখা উচিত আর লক্ষ্য রাখতে হবে প্রদীপ যেন মাটিতে না থাকে। বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘরে রাখা কোনো দেব দেবীর মূর্তি যেন ২ ইঞ্চির কম আর ৯ ইঞ্চির বেশি না হয়। ঠাকুরের ছবি যেন ভুলেও উত্তর বা দক্ষিন দিকে না থাকে।


শাস্ত্রমতে কোনো ঠাকুরের মূর্তি যেন একে অপরের দিকে মুখ করে না থাকে। আর একই ঠাকুরের দুটি মূর্তি যেন না থাকে, একে অশুভ বলে মানা হয়। ঠাকুর ঘরের কাছাকাছি জুতো বা চামড়ার জিনিস রাখবেন না। মূর্তির নিচে টাকা বা গয়না রাখবেন না।


বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘরে রাখা পুজোর সামগ্রী যেন দক্ষিণপূর্ব দিকে মুখ থাকে। বাড়িতে ঠাকুর রাখার নিদিষ্ট নিয়ম আছে। যদি আপনার ঠাকুর ঘরে গণেশের তিনটি মূর্তি থাকে তাহলে তা সরিয়ে রাখুন, নাহলে ঠাকুর ঘরে অশুভ প্রভাব পরতে পারে।


ঠাকুর ঘরে যদি শিবলিঙ্গ থাকে তাহলে তা নিয়ম করে নিষ্ঠা করে পুজো করা উচিত। আর কখনই দুটো শিবলিঙ্গ রাখা উচিত না। যদি শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাধা ও রুক্মিণীর ছবি থাকে, তা আপনার দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি করতে পারে। গণেশ ঠাকুরের সাথে রিদ্ধি ও সিদ্ধির ছবি রাখবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন ঠাকুর ঘরকে আলাদা রাখার ও পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.