ভারতের এই গ্রামে ঘড়ির কাঁটা ঘোরে উল্টোদিকে, বর-কনে সাতপাক ঘোরেন উল্টো!


ODD বাংলা ডেস্ক: সময় বহিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়। কিন্তু সময়ের কাঁটা যদি আচমকা উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করে, তাহলে?  ঘড়ির কাঁটা উল্টোদিকে চলছে এমনটা বাস্তবে অসম্ভব! কিন্তু, জানলে অবাক হবেন যে এই জাতীয় ঘড়ি বাস্তবেও রয়েছে এবং তাও খোদ ভারতে! সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর এই দেশে অনেক উপজাতীয় সংস্কৃতি রয়েছে যা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির বিপরীতে কিছু রীতি অনুসরণ করে। উলটো ঘড়িও তেমনই এক রীতি।

ছত্তিশগড়ের কিছু আদিবাসী গ্রামে, সময় উল্টোদিকে এগোয়। এই গ্রামের সমস্ত ঘড়ির কাঁটাই বিপরীত দিকে চলে। সুতরাং, দুপুর ১২ টার পরে দুপুর ১ টা বাজে না, হয় সকাল ১১ টা। কোরবা জেলার আদিবাসী শক্তিপীঠের সঙ্গে যুক্ত গোন্ড আদিবাসী সম্প্রদায়ের আদিবাসী পরিবারগুলি বিশ্বাস করে তাদের ঘড়িটিই সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ এটিই প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলে। তাঁদের মতে, পৃথিবী ডান থেকে বাম দিকে ঘোরে। এমনকি চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে। পুকুরের ঘূর্ণিও ঘোরে উল্টোদিকে। তাই এই সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, প্রকৃতির চক্র যে দিকে চলেছে তার বিপরীতে তাঁরা কাজ করতে পারেন না।

এই এলাকার বর এবং কনেও বিয়ের সময় উল্টোদিকে সাত পাক ঘোরেন। গোন্ড সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়াও অন্যান্য ২৯ টি সম্প্রদায়ের মানুষ গন্ডোয়ানা ঘড়ি অনুসরণ করে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই মানুষরা মহুয়া, পারসা এবং অন্যান্য গাছের পুজো করেন। ছত্তিশগড়ের এই এলাকায় প্রায় দশ হাজার পরিবারের বাস এবং বাসিন্দারা সকলেই বিপরীত ঘড়ির সূত্রই মেনে চলেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.