কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কি পটল খাওয়া যায়?



 ODD বাংলা ডেস্ক: পুষ্টিকর সব্জির কথা বললে সাধারণত পটলের নাম মাথায় আসে না। কিন্তু বাঙালি পটলকে যতই তাচ্ছিল্য করুক, বিজ্ঞান সম্পূর্ণ উল্টো কথাই বলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পটল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে ওজন কমানো, হরেক রকমের গুণ রয়েছে পটলের।


১। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়: পটলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার পাচনতন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে ও মল নির্গমনে সহায়তা করে। ফলে পটল খেলে যেমন এক দিকে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল হতে পারে, তেমনই অন্য দিকে পটল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য পারে।


২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: পটলে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন-সি জারণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকর ‘ফ্রি র‌্যাডিকেলের’ ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।


৩। ওজন নিয়ন্ত্রণে: পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা পাচিত হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একশো গ্রাম পটলে প্রাপ্ত ক্যালোরির মান মাত্র ২০। ফলে যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য পটল বেশ কার্যকরী হতে পারে।


৪। কোলেস্টেরল কমাতে: পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্‌যন্ত্র ভাল থাকে। কমে স্ট্রোকের ঝুঁকিও।


৫। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে: পটল ও পটলের বীজ ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী। পটলে ‘ফ্ল্যাভিনয়েড’ জাতীয় উপাদান থাকে, থাকে কপার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামও। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।তবে মাথায় রাখবেন সব খাবার সকলের সহ্য হয় না। তাই যে কোনও খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.