দেড়শ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা জাপানে, বিদ্যুৎ বিপর্যয় রুখতে আহ্বান সরকারের


ODD বাংলা ডেস্ক: এশিয়ার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ জাপান প্রায় দেড়শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপমাত্রার মোকাবেলা করছে। তাপে শরীরে ফোসকা পড়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বিদ্যুতের ঘাটতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে দেশের সরকার। যেখানে সম্ভব সেখানে বিদ্যুত খরচ কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। 

গরমের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে বিদ্যুৎ বাঁচানোর আহ্বানের পাশাপাশি সরকার মানুষকে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য এসি ব্যবহারেরও পরামর্শ দিচ্ছে। আগামী দিনেও তাপ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মানুষ্য-প্ররোচিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ আরও তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবীতে ইতিমধ্যে প্রায় ১.১ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে।

টোকিও টানা পঞ্চম দিনে বুধবার ৩৫ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যা ১৮৭৫ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে জুন মাসে গরম আবহাওয়ার সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা। এদিকে, রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে ইসেসাকি শহরে এটি ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জাপানের জন্য জুন মাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবরে বলা হয়েছে, অত্যধিক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২জনের। 

সাধারণত এত গরম দেখার অভ্যাস নেই টোকিওবাসীর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রের ব্যবহারও আগে এত ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে গরম ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালে প্রথম তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র কেনা শুরু হয়। 

জাপানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাতে এত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র সাপোর্ট করা সম্ভব নয়। সে কারণেই সকলকে বিদ্যুতের কথা মাথায় রাখার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, বয়স্ক মানুষদের আরাম প্রয়োজন। তারা সারাদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বাকিদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে না পারলে গোটা টোকিও অন্ধকারে ঢেকে যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.