সানবার্নে জেরবার! এই গরমে রইল রোদের থেকে বাঁচার কিছু টিপস
ODD বাংলা ডেস্ক: সানবার্ন বা রোদে পোড়া এখন ত্বকের নিত্যদিনের সমস্যা। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হয়। পথের ধুলাবালি ও রোদের তাপে ত্বকে পোড়াভাব তৈরি হয়। এ জন্য রোদের মধ্যে বাইরে বেরোতে সঙ্গে ছাতা রাখার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ ছাড়া সানস্ক্রিন ব্যবহারও অপরিহার্য। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেভাবে সানবার্নের সঙ্গে মোকাবিলা করা যেতে পারে, তা হল-
কলা, পেঁপে ও মধুর প্যাক
গরমে ত্বকের কালচে ভাব ও মলিনতা দূর করতে নিয়মিত কলা, পেঁপে আর মধুর তৈরি মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাকা কলা, দুই ফালি পাকা পেঁপে ভালোমতো চটকে নিন। এবার এর মধ্যে দুই চা চামচ মধু মেশান। রোদ থেকে ফিরে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ত্বক পরিষ্কার ও রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
শসা, গোলাপজল ও লেবুর রস
এক টেবিল চামচ শসার রস, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলা দিয়ে সারা মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটোর প্যাক
টমেটো লাইকোপেনে সমৃদ্ধ। এই লাইকোপেন শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। টমেটোর প্রলেপ ত্বকে লাগালে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে। সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
দই ও মধুর প্যাক
রোদে পোড়া ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে দারুণ কাজে লাগতে পারে দই ও মধু। এক বাটি দইয়ে ২ চা চামচ মধু মেশান। রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।
তার পরও রোদ থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা কঠিন। ফলে ত্বক ট্যানড হয়ে পড়ে। রোদে গেলে অনেকের ত্বকে জ্বালাভাব হয়। এ জন্য কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
মুখে জলের ঝাপটা
রোদে গেলে ত্বকে জ্বালা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সূর্যের উত্তাপ ও ঘামের ফলে ত্বকের উপরিভাগের আবরণ দুর্বল হয়ে পড়ে। এ জন্য ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়। ছাতা, সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে এ অবস্থা কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। রোদ থেকে ফিরেই মুখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। জ্বলুনি ভাব কমা পর্যন্ত ঝাপটা দিতে হবে। এরপর নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে পাখার নিচে বসতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর জল পান করতে হবে। ডাব ও ফলের রসও উপকারী।
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ও বরফ ব্যবহার
রোদ থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্লেনজার দিয়ে মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করলে রোদে পোড়ার যে জ্বলুনি ভাব সেটা কমে আসবে। এরপর কয়েকটি বরফের টুকরা পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে আলতো করে ত্বকের ওপর চাপ দিতে হবে। এতে সারা দিনের ধকল কাটিয়ে আবার সতেজ হয়ে উঠবে ত্বক। জ্বালাপোড়াও কমবে। প্রতিদিন বাইরে বেরোনোর আগে ঠাণ্ডা জলে স্নান করতে হবে।
আরামদায়ক পোশাক
রোদে ত্বক জ্বালাপোড়ার আরেকটি কারণ পোশাক। পোশাক আরামদায়ক না হলে ত্বকে জ্বলুনি বেশি হয়। ঘাম হয়। ঘাম থেকে ঘামাচি, চুলকানি হয়। এ জন্য গরমে আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। সুতি, লিনেন, কটন কাপড়ের পোশাক গরমের সময় বেশি আরামদায়ক। এমন কাপড়ের মধ্য দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। ফলে ঘাম কম হয়। ত্বকের সঙ্গে ঘষা লাগলেও জ্বালাপোড়ার ভয় নেই। এ সময় চেষ্টা করতে হবে লং স্লিভ কটনজাতীয় পোশাক পরার। মুখ, হাত, পা ও শরীরের খোলা অংশ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলে উপকার মিলবে। কিছুক্ষণ পর পর ওয়েট টিস্যু দিয়ে ত্বক মুছে নিতে হবে। অনেক সময় রোদের কারণে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। সেখান থেকেও জ্বালাপোড়া হতে পারে। পাতলা ত্বক অল্প রোদেই লাল হয়ে যায়। বেশি জ্বালা হয়। যাদের ত্বক পাতলা তাদের রোদ পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে।
Post a Comment