শনির দশা চলছে? বড় ঠাকুরের কৃপাদৃষ্টি লাভ করুন সহজ উপায়ে…
ODD বাংলা ডেস্ক: শনির দশাকে আমরা প্রত্যেকেই ভয় পাই। শনিদেবের নাম শুনলে আমরা সকলেই ভীত হয়ে পড়ি। আমরা সকলেই চাই জীবনে একটু ভালো থাকতে। জীবনে সুখ শান্তি যেন সবসময় বিরাজ করে এরকমই চাই আমরা প্রত্যেকেই। এই সব সমস্যা সমাধান করার জন্য অনেকে অনেক রত্ন ধারন করেন।
জ্যোতিষ মতে অনেকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলেন। গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের উপর নির্ভর করে জীবনে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়, জীবন অতিবাহিত হয়। অনেকের রাশিতে শনির অবস্থান ভালো থাকে না। শনির দশা তার জীবনে প্রভাব ফেলে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
শনির দশা থেকে মুক্তি পেতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললেই শনিদেবের কৃপালাভ করা যায়। এর জন্য শনিদেবের ব্রত পালন করতে হয়। নীল বা কৃষ্ণ বর্ণের ঘট, পুষ্প, বস্ত্র, লৌহ, মাষ কলাই, কালো তিল, দুধ, গঙ্গাজল, সরষের তেল এইসব জিনিসগুলি শনিদেবের ব্রত পালন করার জন্য আবশ্যিক।
নির্জলা উপাস বা একাহারে উপবাস করে এই ব্রত পালন করতে হয়। যাদের শনির সাড়েসাতির যোগ চলছে তাদের শনিদেবকে তুষ্ট রাখা খুবই জরুরী। শনিদেবকে পুজো করার কিছু নিয়ম রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই শনিদেবের কৃপাদৃষ্টি লাভ করা যায়।
জ্যোতিষ মতে শনিদেবের কুদৃষ্টি অশুভ ফল নিয়ে আসে। শনিদেবের সম্পর্কে সাধারন মানুষের যতই খারাপ ধারনা থাকুক না কেন মৎস্য পুরানে শনিকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকায় ফেলা হয়েছে। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পুজো অর্চনা করার বিধান রয়েছে শাস্ত্রমতে।
সাধারণত শনিদেবের পুজো শনি মন্দিরে বা বাড়ির খোলা জায়গায় হয়ে থাকে। যে নিয়মগুলি মেনে চললে শনিদেবের কৃপা লাভ করা যায়। মনে করা হয় শনি ও রাহুর প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লোহা বা কাচের গুলি কাছে রাখতে পারলে উপকার মেলে।
প্রতি শনিবার কাজল দান করুন, এতে শনিদেব প্রসন্ন হন। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার কালো তিল দান করুন বা সঙ্গে রেখে দিন। এতে শনিদেবের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকবে ও জীবন সুখে শান্তিতে ভরে উঠবে।
শনিবার মনে করে অরহর ডাল দান করুন, এতে জীবনের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট দূর হবে। শনির দোষ কাটাতে কালো রঙ ব্যবহার করুন বা কালো রঙের বস্তু দান করুন। শনিদেবের পুজোতে নীল রঙের ফুল ব্যবহার করুন, এতে শনিদেবের কৃপা বজায় থাকবে, আপনার জীবন সুখে সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।
Post a Comment