মহাদেবের মাথার চাঁদ কীসের প্রতীক, কেন বাগছাল পরিধান করেন দেবাদিদেব


ODD বাংলা ডেস্ক:
শিব বা মহাদেবকে দেবাদিদেব বলা হয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী তিনি হলেন আদিদেব। অন্য দেবতাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা মহাদেবের সহজ সরল জীবনযাত্রা ও পোশাক আশাক তাঁর ভক্তদের মনে তাঁর সম্পর্কে কৌতুহল বাড়িয়ে তোলে আরও অনেকটাই৷ কেন তাঁর হাতে ত্রিশূল, ডমরু, কেন সাপ তাঁর গলায় জড়ানো, এমন আরও বহু প্রশ্নই মনে জাগে৷ তেমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর রইল আপনাদের জন্য…

ত্রিশূল - মহাদেবের ত্রিশূল তিনটি শক্তির প্রতীক- জ্ঞান, ইচ্ছা এবং সম্মতি৷

ডমরু - শিবের ত্রিশূলে সব সময় বাঁধা থাকে ডমরু। এই ডমরু বেদ এবং তার উপদেশের প্রতীক যা আমাদের জীবনে এগিয়ে চলার রাস্তা দেখায়৷

রুদ্রাক্ষমালা - রুদ্রাক্ষ ধারণ আসলে শুদ্ধতার প্রতীক৷ অনেকক্ষেত্রে তাঁর হাতে রুদ্রাক্ষমালা থাকে যা ধ্যানমুদ্রার সূচক বলে জানা যায়৷

নাগ - মহাদেবের গলায় ও মাথায় নাগের উপস্থিতি সর্বদা দেখা যায়, যা পুরুষের অহংকারের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷

মাথায় চাঁদ - মহাদেবের মাথার চাঁদ এই ইঙ্গিত দেয় যে, কাল সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিয়ন্ত্রণে৷

তৃতীয় নয়ন - তাঁর কপালের তৃতীয় নেত্রকে জ্ঞানের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷ অনেক ক্ষেত্রে বলা হয়, তিনি রেগে গেলে এই তৃতীয় চোখটি খুলে যায় এবং সব কিছু ভস্ম হয়ে যেতে পারে তাতে৷

বাঘ ছাল - মহাদেবের সব ছবিতেই দেখা যায় তিনি বাঘছাল পরে রয়েছেন, আবার কোনও কোনও ছবিতে এও দেখা যায় যে তিনি বাঘ ছালের ওপর বসে রয়েছেন৷ আসলে এই বিষয়টি ভয় হীনতা ও অতি সাধারণ জীবনযাত্রার প্রতীক৷

জটার থেকে নির্গত জল - মহাদেবের জটা থেকে জল বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আসলে তা হল গঙ্গা নদী৷ য়অনেক ছবিতে আবার চেহারার পরবর্তে জটা থেকে নির্গত জলধারা দেখতে পাওয়া যায়৷ ভগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয় সর্গের নদী গঙ্গা যখন মর্ত্যে নেমে আসছিলেন, তখন তাঁর প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসে পৃথিবী প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ভগীরথ তখনও শিবের চরণাগত হন।মহাদেব নিজের জটায় গঙ্গাকে আবদ্ধ করে ফেলেন। জটা থেকে মহাদেব তাঁকে ছোটো ছোটো ধারায় মুক্তি দেন। সেই কারণে মহাদেবের জটা থেকে গঙ্গাকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.