জীবনযাত্রায় এই কয়টি পরিবর্তন রক্ষা করবে Male Fertility সমস্যা থেকে, জেনে নিন কী কী

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানান সমস্যার। সমস্যা দেখা দিচ্ছে ছেলে, মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে। আধুনিক জীবনযাত্রার দৌলতে আমরা এমন কিছু জিনিস রপ্ত করেছি, যাতে পরোক্ষ ভাবে আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে আছে স্ট্রেস। এই কারণে দেখা দিচ্ছে বন্ধ্যাত্বর মতো সমস্যা। তাছাড়াও শরীরে এমন কিছু রোগ বাসা বাঁধছে যা সন্তানের জন্ম দিতে বাধা সৃষ্টি করছে। মেয়েদের পিসিওডি, ডিম্বাশয় সংক্রান্ত নানান সমস্যা যেমন দেখা যাচ্ছে। তেমনই ছেলেদের শুক্রাণুর সমস্যা কমে যাচ্ছে। এই সকল সমস্যা থেকে বাঁচতে ডাক্তারি পরামর্শ তো নেবেনই। তার আগে জীবনযাত্রায় আনুন পরিবর্তন। আজ তথ্য রইল Male Fertility নিয়ে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করলে আগে জীবনে আনুন এই পরিবর্তন। তবেই মুক্তি পাবেন যাবতীয় সমস্যা থেকে।   


সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করলে সবার আগে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ডাক্তারি পরামর্শ নিন। ডাক্তারি পরমার্শ মেনে আগে কিছু টেস্ট করিয়ে নিন। আপনার ও আপনার শারীরিক কোনও জটিলতা আছে কি না, তা আগে দেখে নিন। সেই অনুসারে চিকিৎসা করে তবেই সন্তান নেবেন। তা না হলে আপনার শরীরে থাকা কোনও রোগ বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। 


গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বহু ছেলেদের আজকাল শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণে হল ল্যাপটপ। সারাদিন অনেকে কোলে ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকেন। ল্যাপটপের হিট থেকে ছেলেদের শরীরে খাবার প্রভাব পড়ে। এর ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে থাকে। তাই সতর্ক থাকুন। সুস্থ থাকতে চাইলে একথা সব সময় মেনে চলুন।  


চিন্তা মুক্ত হতে দিনে একাধিক সিগারেট খেয়ে ফেলন। এই ধূমপানই যে আপনার শরীরে কী মারাত্মক ক্ষতি করছে, তা আপনিই জানেন না। ধূমপানের জন্য শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়। সঙ্গে শরীরে নানান রকম জটিল সমস্যা তৈরি হয়। এর থেকে বাচ্চার শরীরেরও সেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া, বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগতে পারেন এই ধূমপানের জন্য।  


অন্যদিকে, ত্যাগ করুন মদ্যপান। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করলে নিজের বদ অভ্যেসগুলো বদল করুন। মদ্যপান করলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়। শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে থাকে, তেমনই লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিজে সুস্থ থাকতে ও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে চাইলে মদ্যপান বন্ধ করুন। তা না হলে বৃদ্ধি পাবে শারীরিক জটিলতা। 


ভিটামিন খান নিয়ম করে। চিকিৎসকরা অনেক পুরুষকে মাল্টি ভিটামিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে ভিটামিন সি, ই, খনিজ সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক থাকে। যা শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে থাকে। তাই খেতে পারেন ভিটামিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাহলে যে কোনও সমস্যা  থেকে সহজে মুক্তি পাবেন। 


জাঙ্ক ফুডে আমরা সকলেই অভ্যস্ত। রোজও কোনও না কোনও দোকানের খাবার খেয়ে থাকি। এই খাবারই আপনার অজান্তে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। সন্তানে জন্মের পরিকল্পনা করতে এই অভ্যেস ত্যাগ করাই ভালো। এমন খাবারে অধিক নুন ও চিনি থাকে। আর এমন কিছু উপাদান থাকে যা শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। তাই যতটা পারবেন কম খান জাঙ্ক ফুড।     


স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করা সকলের জন্য প্রয়োজন। স্ট্রেস নানা রকম শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। এর কারণে যৌন মিলনের ইচ্ছা হ্রাস পায়, তেমনই কমতে থাকে শুক্রাণুর সমস্যা। তাই মানসিক সুস্থতা বজায় রাখুন। সবার আগে স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করুন। এতে সব রকম জটিলতা থেকে মুক্তি পাবেন। 


অধিক ওজন শরীরে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি করে। তাই এই প্রসঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দিন। ওজন বৃদ্ধি পেলে হাইপার টেনশন, থাইরয়েড, সুগারের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। যা পরোক্ষ ভাবে আপনার শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে। তাই বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে মেনে চলা প্রয়োজন এই বিশেষ টোটকা।  


না জেনে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। সারা বছরই হজমের সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা ও জ্বর-সর্দির মতো সমস্যা লেগে থাকে। আর আমরা এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজের মতো ওষুধ খাই। জানেন কি, প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ অধিক খাওয়ার জন্য কমতে পারে শুক্রাণুর সংখ্যা এমনকী হ্রাস পায় শুক্রাণুর গুণগত মান। তাই আর না জেনে ওষুধ খাবেন না। 


সারাদিন কাটে একটি চেয়ারে বসে। সারা দিন নড়াচড়া প্রায় নেই বললেই চলে। এদিকে রোজ সকালে উঠে ১ ঘন্টা এক্সারসাইজ করেন। আপনার জীবনযাত্রা এমন হলে নানা রকম জটিলতা তৈরি হতে বাধ্য। এসারসাইজ যেমন করবেন, তেমনই সারাদিন শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করুন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.