সিন্দুকে থরে থরে সাজানো সোনার কাঠি, বড়বাজারে গয়না কারখানায় ঢুকে থ গোয়েন্দারা
ODD বাংলা ডেস্ক: শিরোনাম পড়ে ভাববেন না রূপকথার সোনার কাঠির কথা বলা হচ্ছে। খাস কলকাতার বড়বাজারের দু’টি সোনার গদিতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সিন্দুকের ভিতর থেকে উদ্ধার থরে থরে সাজানো সোনার কাঠি। একে একে গোয়েন্দাদের হাতে উদ্ধার হয় ১৫টি বিভিন্ন মাপের সোনার কাঠি। তার সঙ্গে উদ্ধার হয় সোনার বাটও। শুল্কদপ্তরের একটি শাখার অভিযানে বড়বাজারের সোনাপট্টি থেকে উদ্ধার হল মোট ৯ কিলো ২০.৪৬ গ্রাম সোনা। যার দাম ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সম্প্রতি চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে সোনার বাট ও বিস্কুট সোনা পাচারের এজেন্টরা নিয়ে আসে কলকাতায়। সেখান থেকে এই বিদেশি সোনা আসে বড়বাজারে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে, মঙ্গলবার শুল্ক দপ্তরের ‘এসআরআই’ বিভাগের আধিকারিকদের কাছে খবর আসে যে, বিদেশ থেকে বড়বাজারে পাচার হয়েছে চোরাই সোনা। সেই মতো একটি সোনার গদিতে গিয়ে হাজির হন গোয়েন্দারা। নামে গদি হলেও আসলে সেটি কারখানা বলে দাবি গোয়েন্দাদের। পাশাপাশি দু’টি কারখানায় সোনার বাট ও বিস্কুট গলানো হয় বলেও অভিযোগ। ওই কারখানায় হানা দিয়ে গোয়েন্দারা দেখতে পান, চলছে সোনা গলানোর কাজ। একাধিক সিন্দুক থেকে উদ্ধার হয় প্রায় এক কিলোর বেশ কিছু সোনার বাট। তার মধ্যে কয়েকটি আবার ভাঙা। তারই সঙ্গে বেরিয়ে আসে সোনার কাঠিগুলি।
সোনাপট্টির ওই কারখানার মালিক ওই সোনাগুলি কিনে গলাতে শুরু করেন। গোয়েন্দারা ওই সোনার বাট বা কাঠির সমর্থনে কোনও নথিপত্র পাননি। সন্ধান মেলেনি কারখানার মালিকেরও। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ওই মালিকের বড়বাজারে একটি সোনার দোকান আছে। সোনার বাট ও বিস্কুট থেকে প্রথমে সোনার কাঠি এবং তা থেকে পরে গয়না তৈরি করা হত। তার একটি অংশ বিক্রি হত ওই দোকানে। গয়নার বাকি অংশ ফের পাচার করা হত বাংলাদেশে।
Post a Comment