কোন বয়সি মহিলাদের মধ্যে স্বমেহনের ঝোঁক বেশি? জানাচ্ছে সমীক্ষা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্বমেহন নিয়ে নানা ভুল ধারণা আছে অনেকের মনেই। অনেকের ধারণা, স্বমেহনের ফলে শরীরের নানা ক্ষতি হয়। কিন্তু নানা সময়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রমাণ করে দিয়েছে, এর ফলে কোনও ক্ষতি হয় না। যৌনসঙ্গমের ক্ষেত্রে কিছু শারীরিক লাভ আছে। স্বমেহনের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণে লাভ না থাকলেও ক্ষতি নেই। সমীক্ষা বলছে, পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা দূর করতে স্বমেহনেই ভরসা রাখেন অনেকে।


গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিগত ছ’মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা এবং ৪১-৬৫ শতাংশ পুরুষ যৌনতৃপ্তি পেতে স্বমেহনের পথ বেছে নিয়েছেন। স্বমেহন যে নিছক আনন্দ দান করে তা নয়, স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও স্বমেহন বেশ কার্যকর। মানসিক চাপ কমাতে, ঘুমের উন্নতিতে, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কাটাতেও স্বমেহন অত্যন্ত সহায়ক। তবে মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে স্বমেহনের উপকারিতা ভিন্ন।


মহিলাদের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী স্বমেহন?


১) মূত্রনালী সংক্রান্ত সমস্যা ও সংক্রমণ কমাতে স্বমেহন সাহায্য করে।


২) স্বমেহনের সময় শারীরিক উত্তেজনায় জরায়ু মুখ উন্মুক্ত হয়। এর ফলে জরায়ুতে জন্ম নেওয়া মিউকাস বা জীবাণু বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।


গবেষণায় দেখা গিয়েছে ১৮-৩০ বছর বয়সি বিবাহিত অথবা অবিবাহিত মহিলার সবচেয়ে বেশি স্বমেহন করে থাকেন।


পুরুষদের জন্য কতটা উপকারী স্বমেহন?


পুরুষদের মধ্যে হস্তমৈথুনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমা। ২০০৮ সালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়। পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার চিকিৎসকদের অন্য একটি গবেষণাপত্রও সমর্থন করে হার্ভার্ডের গবেষণাপত্রটিকে। সেখানে বলা হয়েছে, অল্প বয়স থেকে যে পুরুষরা নিয়মিত স্বমেহন করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.