শুধু পিরিয়ড মিস নয়, এই লক্ষণগুলি থেকেও বুঝতে পারবেন আপনি অন্তঃসত্ত্বা কি না
ODD বাংলা ডেস্ক: আপনি গর্ভবতী এটি নিশ্চিত হতে আমরা ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকি। তবে শুধু ডাক্তারের কাছে গিয়েই নয়, ঘরে বসেও আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি গর্ভবতী কিনা।পিরিয়ড ছাড়াও নানা শারীরবৃত্তিয় ঘটনা আছে, যা গর্ভধারণের ইঙ্গিত দেয়। জেনে নিন পিরিয়ড মিস ছাড়াও শরীরের যেসব পরিবর্তন দেখে গর্ভধারণের বিষয় নিশ্চিত হতে পারেন-
- মর্নিং সিকনেস বা সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুর্বল ও ক্লান্তি বোধ করা গর্ভধারণের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ মনে করা হয়। দিনে বা রাতে যে কোনো সময় এমন হতে পারে। সাধারণত গর্ভধারণের এক মাস পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়।
- গর্ভধারণের ৪-৬ সপ্তাহ পর বমি শুরু হয়। এ সময় অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনোর স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সকালে উঠেই বমিভাব হয়ে থাকে। তবে শুধুই যে সকালে বমি হবে, তা কিন্তু নয়। দিনের যে কোনো সময় একাধিকবার বমি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিরিয়ড মিস করার আগে অর্থাৎ গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহেই ৮০ শতাংশ নারী বমির সমস্যায় ভোগেন। আবার ৫০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ৬ সপ্তাহ বা তার আগে থেকে বমি অনুভূত হতে থাকে।
- স্তনে ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা ভারী হওয়া গর্ভধারণের অন্যতম এক লক্ষণ। কারও কারও ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ১ম বা ২য় সপ্তাহের মধ্যেই স্তনে ব্যথা হয়।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ হয়। গর্ভধারণের প্রথম ৩ মাসে এ সমস্যা হতে পারে। হরমোনে পরিবর্তনের ফলে এই ডিসচার্জ হয়।
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি গর্ভধারণের আরও একটি লক্ষণ। এ সময় নানা কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। গর্ভধারণকালে প্রোজেস্টেরোনের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি হয়।
- গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে পিরিয়ড বন্ধ না হলেও ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করলেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখেন। এই ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনেক সময় গর্ভধারণের ইঙ্গিত দেয়।
- পিরিয়ডের তারিখ ছাড়াও যদি হঠাৎ কখনো ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং হয়, তাহলেও প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করিয়ে নিন। ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং, স্পটিং ও ক্র্যাম্পস প্রেগনেন্সির দিকে ইশারা করে।
- গর্ভধারণকালে মুড সুইং ও মাথা ঘোরা খুবই সাধারণ লক্ষণ। গর্ভধারণের সময় হরমোনে নানা পরিবর্তনের কারণে আকস্মিক কান্না, হঠাৎ করে রেগে যাওয়া, আনন্দিত হওয়া, আবার অতিরিক্ত এক্সাইটেড হয়ে পড়েন গর্ভবতী নারী।
- প্রেগনেন্সির শুরুর দিনে মাথাব্যথা অনুভূত হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায় রক্ত সঞ্চালন ও হরমোনের স্তর বৃদ্ধির কারণে এমন হয়। এ সময় তীব্র মাথা ব্যথার পাশাপাশি ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
- বারবার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতাও গর্ভধারণের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। ওভ্যুলেশান প্রক্রিয়ার পর গর্ভধারণ সম্পন্ন হলে, দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব হয়।গর্ভাবস্থার সময় শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় কিডনি অধিক পরিমাণে তরল নিঃসৃত করতে শুরু করে, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
- গর্ভধারণের শুরু থেকেই অধিকাংশ নারীর স্বাদ বদলে যায়। অনেকে এমন কিছু শাক-সবজি বা খাবার খেতে শুরু করে দেন, যা তারা আগে খেতে পছন্দ করতেন না।
আবার পছন্দের খাবারও অনেক গর্ভবতী নারী খেতে চান না। এ ছাড়াও গর্ভবতী নারীদের দিন বা রাতে যে কোনো সময়, যে কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে।তবে যে কোনও শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Post a Comment