যে আট কারণে রূপচর্চায় গাঁজা ব্যবহার করতে বলা হয়!



 ODD বাংলা ডেস্ক: গাঁজার নানা উপকারিতা ও অপকারিতার কথা আমরা শুনেছি। এটি যেমন নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তেমনি ব্যবহৃত হয় ওষুধের উপকরণ হিসেবেও। এর বাইরে রূপচর্চায় গাঁজা ব্যবহার করেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। 


রূপচর্চায় নানাভাবে ব্যবহৃত হতে পারে গাঁজা। যেমন, গাঁজার হেয়ার ট্রিটমেন্ট কিংবা ত্বক পরিচর্যা। সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হলে গাঁজা আপনার ত্বকে জাদুকরি পরিবর্তন আনতে পারে। গাঁজাকে নিয়মিত রূপচর্চার অংশ করে নেওয়ার পক্ষে অনেকগুলো যুক্তিসংগত কারণ দেখানো যায়। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক রূপচর্চায় গাঁজার উপকারিতা।


১. চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী


আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন, গাঁজা সেবন করলে মাথার চুল ঝরে যায়? তবে গাঁজা কিন্তু আপনার চুলের বৃদ্ধিতেও উপকারী বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। গাঁজা পাতায় থাকে প্রদাহনিরোধী উপাদান। এছাড়াও থাকে চুলের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলকে আরও সতেজ, উজ্জ্বল ও মজবুত করে তোলে।


২. খুলির চামড়ায় পুষ্টি জোগায়


খুশকি অত্যন্ত বিরক্তিকর, চুলের জন্য ক্ষতিকরও বটে। তাছাড়া খুলির চামড়া শুকনো খসখসে হলে খুব চুলকানি হয়। এই মুশকিলের আসান করতে পারে গাঁজা। গাঁজার বীজে থাকে গামা-লিনোলিক অ্যাসিড। এটি আর্দ্র এবং ভীষণ খসখসে খুলির চামড়ার অবস্থাও ভালো করতে পারে। কাজেই গাঁজার বীজ ব্যবহার করুন এবং খুশকিকে বিদায় জানান।


৩. শ্যাম্পু হিসেবে গাঁজা


খসখসে চামড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া ছাড়াও শ্যাম্পু হিসেবেও দারুণ কার্যকর গাঁজা। এতে থাকে ভিটামিন ই, যা চুল গজানোর হার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া গাঁজায় ক্ষতিকর রাসায়নিকও থাকে না। সেইসঙ্গে গাঁজা এতই আর্দ্র যে এটি কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। কাজেই শ্যাম্পুর পাশাপাশি কন্ডিশনার হিসেবেও দারুণ ফল দিতে পারে গাঁজা।


৪. চুলের গোড়া মজবুত করে


গাঁজায় প্রচুর প্রোটিন থাকে। আমাদের চুলের সুস্থতার জন্যও প্রচুর প্রোটিনের দরকার। কাজেই চুলের গোড়া মজবুত করতে গাঁজা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়া গাঁজা ত্বকও মসৃণ করে।


৫. প্রদাহ প্রশমন


ত্বকের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, প্রদাহ প্রশমনে গাঁজা অতুলনীয়। একজিমা, সোরিয়াসিস, অথবা সাধারণ ফুসকুড়িও সারানো যায় গাঁজার তেলে। 


৬. ব্রণের চিকিৎসায়


ব্রণ খুবই বিরক্তিকর একটা জিনিস। ব্রণের সমস্যায় ভোগেননি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া ভার। এই ব্রণের চিকিৎসাতেও কিন্তু দারুণ কার্যকরী গাঁজা। গাঁজা গাছে ৬০ ধরনের উপাদান থাকে, যা ব্রণ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কার্যকর।


৭. প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি


গাঁজা শুধু ব্রণ আর আঁচিলই সারায় না। গাঁজা গাছের উপাদান জলমিশ্রিত তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ে। তেলের সঙ্গে গাঁজা গাছের উপাদান ব্যবহারে কোষের পুনরুৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও সতেজ ও চকচকে।


৮. বার্ধক্য-প্রতিরোধী উপাদান


গাঁজার সবচেয়ে বিস্ময়কর উপকারিতা সম্ভবত এর বার্ধক্য প্রতিরোধের ক্ষমতা। গাঁজা ব্যবহারে আপনার ত্বক পাবে তরুণ চেহারা। এটি ক্ষতিকর অক্সিজেন কণাকে আটকে দিয়ে ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.