বাড়ির খুদেটি মুরগির মাংস ছাড়া খেতেই চায় না? রোজ চিকেন খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর
ODD বাংলা ডেস্ক: শিশুদের প্রোটিন খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। লিন প্রোটিনের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হল মুরগির মাংস। শিশুরা সাধারণত চিকেন খেতে পছন্দও করে। অন্য খাবারের মতো খুব একটা ঝামেলা করে না খেতে। অনেক বাচ্চা আবার চিকেন এতটাই পছন্দ করে যে, প্রত্যেক দিন খাওয়ার জন্য জেদ শুরু করে। বাবা-মায়েরা ব্যস্ততার মধ্যে অনেক সময়ে শিশুর জেদ মেনেও নেন। কিন্তু রোজ চিকেন খাওয়া কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল? শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও অনেকে এমন আছেন, যাঁদের মুরগির মাংস ছাড়া খাওয়া হয় না। এই অভ্যাস কি আদৌ ভাল?
পুষ্টিবিদদের মতে, রোজের খাদ্যতালিকায় চিকেন রাখাই যায়। তবে মাত্রা রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। আর চিকেনের কোন পদ রান্না করছেন, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। তেল-মশলাদার মুরগির মাংস রোজ খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তবে হালকা ঝোল খাওয়াই যায়।
১) লিন প্রোটিনের উৎস: লো ফ্যাট প্রোটিন বা লিন প্রোটিনের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উৎস হল মুরগির মাংস। পেশির গঠনে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। বড় হওয়ার সময়ে শিশুদের মুরগির মাংস খাওয়ানো বেশ ভাল।
২) অবসাদ দূর হয়: চিকেনের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান স্ট্রেস দূর করতে, মনকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। ঋতুস্রাবের সময়ে অনেক মহিলার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে মেজাজ খারাপ হয়। এই সময়ে ডায়েটে চিকেন থাকলে মন ভাল থাকবে।
৩) বাতের সমস্যা দূর করে: বাড়তি বয়সে অস্টিয়োপোরসিস বা বাতের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। মুরগির মাংস হাড়ের ক্ষয় রুখতে পারে। বয়স বাড়লে তাই প্রতি দিন মুরগির মাংস খাওয়া ভাল।
৪) হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে: শরীরে হোমোসিস্টেন অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। মুরগির ‘ব্রেস্ট’ অংশ হোমোসিস্টেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে।
৫) ভিটামিন বি ৬-এর উৎস: মুরগির মাংসে এই ভিটামিন ভরপুর মাত্রায় থাকে। তা শরীরে প্রয়োজনীয় উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে হজমশক্তি উন্নত করে। মুরগির মাংস খেলে রক্তসঞ্চালন ভাল হয়, শক্তি বাড়ে।
৬) চোখ ভাল রাখে: মুরগির মাংসের মধ্যে রেটিনল, আলফা, বিটা ক্যারোটিন ও লাইকোপেন রয়েছে। এগুলিতে ভিটামিন এ থাকে। ফলে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও নিয়মিত মুরগির মাংস খাওয়া ভাল।
Post a Comment