অবাধ্য বাচ্চা বাগে আসবে এই সহজ উপায়, মায়েদের জন্য রইল চার গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ODD বাংলা ডেস্ক: আজকাল কার বাচ্চা অধিকাংশই একা একা বড় হয়। এখন পরিবার বলতে ৩ থেকে ৪টে লোক। আর মা ও বাবা দুজনই চাকরিজীবী হওয়ায় বাচ্চা থাকে বাড়ির কাজের মেয়ের কাছে। অথবা থাকে দাদু দিদার কাছে। এই কারণে এরা শাসনের থেকে আদর পায় বেশি। এই আদর অনেক সময় বাচ্চাদের খারাপ স্বভাবের কারণ হয়। আজ রইল চার উপায়ের খোঁজ। অবাধ্য বাচ্চাকে সঠিক পথে আনতে মেনে চলুন এই উপায়। জেনে নিন কী কী।
সন্তান বাধ্য হোক, মা-বাবার সব কথা শুনে চলুক এটা কে না চায়। কিন্তু, বাধ্য সন্তান পাওয়া এক সহজ নয়। বিশেষ করে, আজকাল কার বাচ্চা অধিকাংশই একা একা বড় হয়। এখন পরিবার বলতে ৩ থেকে ৪টে লোক। আর মা ও বাবা দুজনই চাকরিজীবী হওয়ায় বাচ্চা থাকে বাড়ির কাজের মেয়ের কাছে। অথবা থাকে দাদু দিদার কাছে। এই কারণে এরা শাসনের থেকে আদর পায় বেশি। এই আদর অনেক সময় বাচ্চাদের খারাপ স্বভাবের কারণ হয়। আজ রইল চার উপায়ের খোঁজ। অবাধ্য বাচ্চাকে সঠিক পথে আনতে মেনে চলুন এই উপায়। জেনে নিন কী কী।
সারাক্ষণ বাচ্চাকে আদেশ করবেন না। অনেক মা-বাবার এই অভ্যেস থাকে। এর থেকে বাচ্চার মধ্যে নেগেটিভিটি তৈরি হয়। তেমনই বাচ্চারে তিরস্কার করার অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করুন। হতেই পারে সে কোনও বিষয় পারদর্শী নয়। হতেই পারে সে বাকিদের থেকে পিছিয়ে। এমন হলে তাকে সঠিক রাস্তা দেখান। তার ভুল তুলে খোঁটা দেবেন না। এতে বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব পড়ে।
বাচ্চাকে ভুলেও মারধর করবেন না। এর থেকে সে অবাধ্য ও জেদি হয়ে যায়। বাচ্চাকে সব সময় বুঝিয়ে বলুন। সঙ্গে বুদ্ধি করে চলুন। সে অবাধ্য আচরণ করলে আপনি মাথা গরম করবেন না। বরং, বুঝিয়ে তাকে ম্যানেজ করুন।
বাচ্চার চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন। অনেক সময় মায়ের সঙ্গে বাচ্চার একটা জেনারেশন গ্যাপ তৈরি হয়। এর থেকে দুজনের মানসিকরতার দূরত্ব তৈরি হয়। তাই বাচ্চাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তার চার পাশের পরিবেশ বিচার করে বাচ্চার শিক্ষা দিন, তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। না হলে আপনাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হবে। এর থেকে সে জেদি ও অবাধ্য হয়ে যাবে।
বাচ্চার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিতে শিখুন। তার অকারণ জেদ অবশ্যই মানবেন না। কিন্তু, বাচ্চার ইচ্ছেকে বোঝাকে চেষ্টা করুন। তার কথার গুরুত্ব দিন। তবেই আপনার সঙ্গে বাচ্চার দূরত্ব কমবে। তা না হলে বাচ্চার মধ্যে একাকীত্ম্যের সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে বাচ্চা জেদি ও অবাধ্য হয়ে যায়। তাই বাচ্চাকে সময় দিতে হবে। তার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে তাকে সময় দিন। বাচ্চাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তার চাহিদাকে গুরুত্ব দিন।
Post a Comment