রাতে না খেয়ে ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়
ODD বাংলা ডেস্ক: সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। তাইতো সকাল, দুপুর আর রাত- এই তিন বেলা আমরা নিয়ম মেনে খাবার খেয়ে থাকি। যদিও অনেকেই ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে রাতের খাবার বাদ দেন। যা একদমই ভুল। আসলে তিন বেলার খাবারের মধ্যে কোনোটাই বাদ দেওয়া উচিত নয়।
কারণ তিনবেলা খাবারের একবেলাও যদি বাদ দেন তাহলে শরীরে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেই। আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য ডায়েট মেনে চলেন, তবু রাতের খাবার বাদ দেবেন না। অনেকেই ভেবে থাকেন, রাতে ক্যালোরি ঝরানো সম্ভব নয়, তাই না খেয়ে থাকাই বুঝি ভালো। আসলে তা নয়। জেনে নিন, রাতে না খেয়ে ঘুমাতে গেলে কী ক্ষতি হতে পারে-
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
যারা মাঝে মাঝেই রাতের খাবার বাদ দেন, তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। এর ফলে আপনি শিকার হতে পারেন অ্যাংজ্যাইটির। অ্যাংজ্যাইটি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। সেইসঙ্গে বেড়ে যায় শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ। বুঝতেই পারছেন, রাতের খাবার বাদ দিলে তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে?
আপনি যদি নিয়মিত রাতের খাবার বাদ দিয়ে থাকেন তবে দ্রুতই অনিদ্রার শিকার হতে পারেন। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য তো ব্যহত হবেই, সেইসঙ্গে নিয়ে আসবে অনিদ্রা। আবার সকালের খাবার বাদ দিলেও দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশন ও স্ট্রেস। স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে নিদ্রা চক্র বিঘ্নিত হয়। ঘুমের অভাব আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
জাঙ্ক ইটিংয়ের প্রবণতা
রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমালে পেটে ক্ষুধা তো থেকেই যায়। ফলে খাবারের প্রতি লোভ ক্রমশই বাড়তে থাকে। যে কারণে বাড়ে জাঙ্ক ইটিংয়ের প্রবণতা। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কার্বস, শর্করা, ক্যালোরিসহ নানা উপাদান শরীরে প্রবেশ করে নড়বড়ে করে দেয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
কর্মশক্তি কমতে থাকে
আপনি যখন না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য যকৃৎ ফাঁকা থাকে। যে কারণে আপনার কর্মশক্তি দ্রুত কমতে থাকে। ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি আরো বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার জন্য কোনোভাবেই রাতের খাবার বাদ দেওয়া চলবে না। নয়তো রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতে হালকা খাবার খান, কম খান। কিন্তু কোনোভাবেই রাতের খাবার বাদ দেবেন না।
Post a Comment