ডলফিন কেন মানুষকে বিপদে সাহায্য করে?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জলে দাপাদাপি করে সাঁতরে বেড়ানো এক উচ্ছল প্রাণীর নাম ডলফিন। জলচর সব প্রাণীদের মধ্যে ওরা দারুণ বন্ধুসুলভ। ওরা বুদ্ধিমত্তায়ও হার মানাবে অনেক প্রাণীকে। সহজেই মানুষের সঙ্গে মিশতে এদের জুড়ি মেলা ভার।


মানুষের পর ডলফিনকেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী বলে মনে করেন অনেকে। এমন ধারণা সেপক্ষে গবেষণাসাপেক্ষ যুক্তিও আছে। বুদ্ধি না থাকলে কি আর মানুষের বন্ধু হওয়া যায়! 


ডলফিন মানুষের সঙ্গে যে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছে, তার বড় প্রমাণ জলে পড়া বিপদগ্রস্ত মানুষমাত্রই জানে। এমন বহু ঘটনা আছে, যেখানে জলে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে ডলফিন।


সামুদ্রিক প্রাণী হলেও সমুদ্র উপকূলবর্তী নদীগুলোতেও বিচরণ করে ডলফিন। সাধারণত মানুষের আশপাশে থাকতে পছন্দ করে এরা। এ কারণে লোকালয়ের আশপাশের কোনো নদী বা সমুদ্রে ওদের প্রায়ই দেখা যায়। তাই সমুদ্রে পথহারা কোনো নাবিক যদি ডলফিনের ঝাঁক দেখতে পান, তাহলে তিনি ধরে নিতে পারেন, আশপাশেই হয়তো উপকূল আছে। তার মানে বিপদ থেকে বেঁচে ফেরার আশা আছে। 


ডলফিন যে কতো মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে, তার কোনো হিসের নেই। এর অনেক ঘটনাই চমকপ্রদ। একটু ঘেঁটে দেখলে অনেক ঘটনাই পাওয়া যাবে, যেখানে ডলফিন হয় মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে, নয়তো বড় ধরনের বিপদ থেকে মুক্ত করেছে। 


ডলফিন কেন মানুষকে বিপদে সাহায্য করে, বিষয়টি বুঝতে বিজ্ঞানীরা নিয়মিত গবেষণা করে যাচ্ছেন। এর অন্যতম কারণ ডলফিনের বুদ্ধিমত্তা। প্রায় মানুষের সমান মগজ রয়েছে এই প্রাণীর৷ এ কারণেই এরা বেশ বুদ্ধিমান। তা ছাড়া যথেষ্ট সামাজিকও এরা। এ কারণেই ওরা নিয়মিত দল বেঁধে জীবনযাপন করে। এখানেই ওদের সঙ্গে মানুষের বড় মিল।


বিজ্ঞানীরা আরো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, ডলফিন আয়নায় নিজেদের চিনতে পারে, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করে, এরা আত্মসচেতন। এই ক্ষমতা উচ্চতর সহানুভূতির এবং পরোপকারী আচরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বালটিমোরে অবস্থিত জাতীয় অ্যাকুয়ারিয়ামের গবেষকেরা। মানুষকে সাহায্য করার কারণ হিসেবে এটি একটি বড় যুক্তি হতেই পারে। 


তবে আরো খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কিছু কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, ডলফিনের এমন আচরণ জৈবিকভাবে প্রোগ্রাম করা প্রতিক্রিয়া মাত্র?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.