সন্তান কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? সমস্যা সমাধানে মেনে চলুন এই সহজ পন্থা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা চারটি খানি কথা নয়। জন্মের পর থেকেই প্রতিটি শিশুর মধ্যে নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এই সকল জটিলতার মধ্যে কয়টি সাধারণ সমস্যা তো কোনওটি নয়। সমস্যা যাই হোক, তা সঠিক সময় নির্মূল না করতে পারলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই বাচ্চার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে হয় সতর্ক। অধিকাংশ সময় তারা নিজেদের সমস্যা বোঝাতে পারে না। সে কারণেই প্রয়োজন আরও সতর্ক থাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, খুব ছোট বয়স থেকে বাচ্চার মল ত্যাগ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অধিকাংশ বাচ্চা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। বাচ্চার এই সমস্যা একেবারে উপেক্ষা করবেন না। কোনও শিশু যদি সপ্তাহে ৩ বারের কম মলত্যাগ করে ও মলদ্বারে ব্যথা হলে সতর্ক হন। হতে পারে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। 


মাঝে মধ্যে পেট ফোলা, পেট ব্যথা, শিশুর খাবারে অনিহার মতো সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। বমি বমি ভাব ও ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হন। তেমনই সে যদি শিশু যদি সপ্তাহে ৩ বারের কম মলত্যাগ করে ও মলদ্বারে ব্যথা হলে সতর্ক হন। হতে পারে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। 


বাচ্চার কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে তাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়ান। খাদ্যে আঁশ অংশটুকু হজম হয় না। পরিপাকতন্ত্রে বেশ কিছু জলীয়  অংশ শোষণ করে ধরে রাখে এবং তা মলের সঙ্গে বের হয়ে যায়। এক্ষেত্রে, শাক, পুদিনা পাতা, ডাঁটা শাক, মিষ্টি কুমড়ো, লাউ-এর মতো আশ যুক্ত খাবার খাওয়ান। 


বাচ্চাকে বেশি করে জল খাওয়ান। জল খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয় এবং শরীর খাবার থেকে সহজে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। শরবত, ফলের জুস বা স্যুপ খাওয়ান। তেমনই জল খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন। এতে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, সঙ্গে দূর হবে একাধিক শারীরিক জটিলতা। 


আপেলের শরবত খাওয়ান বাচ্চাকে। শরীরে ফাইবারের অভাব হলে বাচ্চার মধ্যে এমন সমস্যা দেখা যায়। আপেলে থাকা পেকটিন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সঙ্গে শরীরে পুষ্টি জোগায়। আর সারা বছর আপেল পাওয়া যায়। সে কারণে বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে তাকে রোজ আপেল খাওয়ান। এতে শরীরে যে কোনও পুষ্টির অভাব পূরণ হবে। 


বাচ্চার বয়স ৬ মাসের বেশি হলে তাকে টমেটো খাওয়াতে পারেন। টমেটো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কড়াইয়ে এক কাপ নিয়ে তাতে একটি ছোট টমেটো নিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার তা ঠান্ডা করে বাচ্চাকে খাওয়ান। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ চামচ পর্যন্ত খাওয়াতে পারেন। 


খাওয়াতে পারেন মৌরি ভেজানো জল। মৌরি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এক কাপ জলে এক চা চামচ মৌরি বীজ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তা ঠান্ডা করে জল ছেঁকে বাচ্চাকে খাওয়ান। আবার রাতে ১ গ্লাস জল ১  চামচ মৌরি মিছরি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে ছেঁকে এই জল খাওয়ান। 


বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন পেঁপে। এতে আছে ফাইবার। এটি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অধিকাংশ বাচ্চাই স্বাদের কারণে পেঁপে খেতে চায় না। তবে, ছোট থেকে পেঁপে খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন। এতে বাচ্চার শরীর থাকবে সুস্থ। যেমন দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য তেমনই শরীরে একাধিক জটিলতা দূর হবে। শরীর থাকবে সুস্থ। 


বাচ্চাকে নিয়মিত পেটে তেল মালিশ করুন। পেটে তেল দিয়ে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরিয়ে আলতো করে মালিশ করুন। এতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। পেট ফোলা, পেট ব্যথা, শিশুর খাবারে অনিহার মতো সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। নিয়ম করে তেল মালিশ করুন। এতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন বাচ্চা। 


ব্রাউন সুগার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আধ চা চামচ চিনি ও  আধ আউন্স জল মিশিয়ে নিন। তা বাচ্চাকে খাওয়ান। এতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিয়ম করে বাচ্চাকে খাওয়ান। তবে সাদা চিনি খাওয়াবেন না। এতে বাচ্চার নানান জটিলতা বৃদ্ধি পায়। বাচ্চার শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই এই কথা মাথায় রাখুন। 


অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক বাচ্চার খুব ছোট বয়স থেকে বাচ্চার মল ত্যাগ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পেট ফোলা, পেট ব্যথা, শিশুর খাবারে অনিহার মতো সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.