সারাদিনে মাত্র পাঁচ মিনিট প্র্যাকটিস করুন এই আসন, শরীর থেকে বিদায় নেবে একাধিক রোগ



 ODD বাংলা ডেস্ক: এই আসনটি করার মাধ্যমে, কাঁধ এবং পাঁজরে একটি বিশেষ মাত্রায় চাপ পড়ে। সেটি প্রসারিত হয়, এরই সঙ্গে এটি উরু, পাঁজরের কলাম, গোড়ালি এবং থাইকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।


আধুনিক জীবনধারা বদলে দিয়েছে মানুষের দৈনন্দিন রুটিন। এই কারণেই আজকের দৌড়-দৌড়ির জীবনে সুস্থ থাকা নিজেই একটি চ্যালেঞ্জ। ভুল খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা, মানসিক চাপ এবং ব্যায়াম থেকে দূরে থাকার কারণে মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বয়স ৩০-এর কোটায় পা রাখা মানেই একের পর এক রোগ। তালিকায় আছে হার্ট, কোলেস্টেরল, প্রেসার-সহ আরও রোগ। এই সকল জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিত্যদিন ৪ থেকে ৫ রকম ওষুধ খেতে হয়। এতেও যে সব সময় নিষ্পত্তি মেলে তা নয়। প্রতিদিন যোগব্যায়াম অনুশীলন করা শারীরিক সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। 


আজ আমরা চেয়ার পোজ যোগ সম্পর্কে জানব। এই আসনটি করার মাধ্যমে, কাঁধ এবং পাঁজরে একটি বিশেষ মাত্রায় চাপ পড়ে। সেটি প্রসারিত হয়, এরই সঙ্গে এটি উরু, পাঁজরের কলাম, গোড়ালি এবং থাইকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।


চেয়ার পোজ আসন কি?


এই আসনটি দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত চেয়ার মানে বসার জায়গা এবং আসন মানে বসার ভঙ্গি। এটি করার সময়কাল ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড ধরা হয়। এই আসনটি করার মাধ্যমে, কাঁধ এবং পাঁজরে একটি প্রসারিত হয়, যখন এটি উরু, পাঁজরের কলাম, গোড়ালি এবং থাই মাসলকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এই আসনটি সকালে করতে হবে। 


চেয়ার পোজ কিভাবে করবেন


প্রথমে একটি পরিষ্কার জায়গায় একটি যোগ ম্যাট বিছিয়ে দিন।

এবার সূর্য নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান।

এর পরে আপনি একটি গভীর শ্বাস নিন।

তারপরে আপনার হাতগুলিকে বাতাসে নেড়ে উপরের দিকে নিয়ে যান।

ধীরে ধীরে আপনার শরীরকে বসার অবস্থানে আনুন।

চেয়ারে বসার মতো।

কয়েক মুহূর্ত এই ভঙ্গিতে থাকুন।

এর পরে আবার আপনার ভঙ্গিতে ফিরে আসুন।

এটি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ডের জন্য করুন।


চেয়ার পোজ আসনের সুবিধা


১. এর অনুশীলনে শরীরে সতেজতা বজায় থাকে।

২. মহিলাদের পেট সংক্রান্ত সমস্যা শেষ হয়।

৩. এর অভ্যাসের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, বদহজম হয় না।

৪. এতে করে কোমর মজবুত হয়।

৫. উরু এবং পায়ের আঙ্গুল মজবুত করে।

৬. এটি মেরুদণ্ডকে নমনীয় করে তোলে।


প্রসঙ্গত, মেনোপোজের সময়ে মহিলাদের শরীরের গঠনে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তন জিনের উপরও নির্ভর করতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশে মেদ জমতে পারে। তবে পায়ে মেদ বাড়ানো যেমন কঠিন, তেমনই পেট থেকে মেদ কমানোও সহজ নয়। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চা ও ডায়েটেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.